সাকার রায় নিয়ে কিছুই বলতে চান না প্রফুল্ল


প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৫

একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা)’র নির্মমতায় পিতৃহারা প্রফুল্লকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় অজানা আতংক। আদলতে সাকার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেও মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত  সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা)`র আপিলের রায় নিয়ে কিছুই বলতে চান না প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ।

সাকা চৌধুরীর আপিলের রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে যোগাযোগ করা হলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ বলেন, ‘রায় নিয়ে আর কি বলব? রায় হওয়ার পরেই না হয় বলি..।’

আপিলের রায়ে কি প্রত্যাশা করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আদালত যা রায় দেন...। রায়ের পর কথা বলবো।

মুক্তিযুদ্ধে সাকা বাহিনীর বর্বরতায় প্রাণ হারান চট্টগ্রামের রাউজানের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ নূতন চন্দ্র সিংহ।
প্রফুল্লর বাবা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল সাকা’কে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছেন।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার দিন রাউজানের গহিরায় প্রফুল্ল’র বাসভবন কুন্ডেশ্বরী ভবন ছিলো তালাবদ্ধ। বাড়ির সামনে বসানো হয়েছিল পুলিশের কড়া প্রহরা। নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথাও বলেননি।

এদিকে ২৯ জুলাই বুধবার আপিল বিভাগের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কুন্ডেশ্বরী ভবনের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা। মূল সড়ক থেকে কুন্ডেশ্বরী ভবন পর্যন্ত চেকপোস্টও বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ।

তিনি বলেন, কুন্ডেশ্বরী ভবনের সামনে আটজনের একটি টিম রাখা হয়েছে। চেকপোস্টও বসানো হয়েছে। কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাকে তল্লাশি করে ভবনে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে।

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।