পাহাড় ধস ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপন
রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনও বসবাস করছেন সাধারণ মানুষজন। ঝুঁকিপূর্ণ এসব এলাকায় বসবাসকারীদের বার বার বলা হলেও সরে যাচ্ছেন না তারা। ইতোমধ্যে সেই সকল এলাকা চিহ্নিত করে ঝুঁকিপূর্ণ সতর্কতামূলক সাইন বোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন।
পাহাড়ে বাস করা দরিদ্র মানুষের শেষ সম্বল হচ্ছে এই ভিটে-বাড়ি। তারা শত ঝুঁকির মধ্যে দিয়েও বাস করে যাচ্ছেন বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ কিংবা জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে কেনা বাড়িতে।
আরও পড়ুন : ‘মাটিচাপা পড়ে মারা গেলেও এখান থেকে যাবো না’
গতকাল শনিবার সকালে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি এলাকা পরিদর্শন করে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। পাহাড় ধসের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
কথা হয় শিমুলতলী এলাকার বাসিন্দা হাবিব উল্লার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে কেনা এই ভিটা। গত পাহাড় ধসে আমার বাড়ির অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় এক মাস আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলাম। কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রে থেকে ফিরে আবারও আগের জায়গায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাস করছি। জানি, এবারও পাহাড় ধস হলে আমাদের ক্ষতি হবে এমনকি মাটি চাপা পরে মারাও যেতে পারি। কিন্তু এসব ছেড়ে কোথায় যাবো?
আরও পড়ুন : স্বপ্ন পূরণ হলো ৯০ বছর বয়সী নয়তন নেছার
নতুন পাড়ার বাসিন্দা খাদিজা বেগম বলেন, আমার স্বামীর রেখে যাওয়া শেষ আশ্রয় কেন্দ্র হচ্ছে এই মাটি। আমি মাটি চাপা পড়ে মারা গেলেও এখান থেকে যাবো না। গেলেও কোথায় যাবো স্বামীর সম্পদ ছেড়ে?
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেন, বিগত সময়ে ঘটে যাওয়া পাহাড়ধসের ক্ষয়ক্ষতি কথা মাথায় রেখে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বসবাসরত মানুষদের সচেতন করছি এবং সচেতনার জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধস হয়। এতে পাঁচ সেনা সদস্যসহ ১২০ জন মানুষ মারা যায় এবং জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এমএএস/এমএস