রিকশা শ্রমিকের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, এসি-ওসিসহ আহত ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৮

বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের এসি, ওসি এবং ৪ নারী কনস্টেবলসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জেলা বাসদের সদস্য সচিবসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

হামলায় মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি) শাহনাজ পারভীন, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন, এসআই নজরুল ইসলাম এবং শারমিন ও ইভাসহ ৪ নারী আহত হন।

আটকরা হলেন- রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম পরিষদের উপদেষ্টা জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, নাসরিন আক্তার টুম্পা, মিঠুন চক্রবর্তী, নুরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন।

barisal-(2)

আন্দোলনকারীরা জানান, বিকল্প ব্যবস্থা না করে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রদান করে ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স প্রদানের দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলে সমাবেশ করে রিকশা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা।

এতে সংগঠনের উপদেষ্টা বাসদ নেত্রী মনিষা চক্রবর্তী, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবিব রুমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। সমাবেশ শেষে রিকশা শ্রমিক-মালিকরা মাটির বাসন হাতে নিয়ে নগরীতে মিছিল বের করেন। মিছিল নিয়ে ফজলুল হক এভিনিউতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।

বাধা উপেক্ষা শান্তিপূর্ণ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংগঠনের উপদেষ্টা জেলা বাসদের সদস্য সচিবসহ ছয়জনকে আটক করে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, ডা. মনিষার নেতৃত্বে একদল বিক্ষোভকারী ফজলুল হক এভিনিউ জেলা আদালত ভবনের প্রধান ফটকের সড়ক দখল করে বিক্ষোভ করায় সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

barisal-(3)

অবরোধকারীরা কামড়ে, আঁচড়ে এবং প্ল্যাকার্ড দিয়ে নারী পুলিশ সদস্যদের মারধর করে। বিক্ষোভকারীদের হামলায় পুলিশের সাতজন আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে ডা. মনিষাসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি) শাহনাজ পারভীন জানান, পুলিশের ওপর হামলা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সাইফ আমীন/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।