নোয়াখালীতে মেয়ে, চট্টগ্রামে হয়ে গেল ছেলে!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৮

চট্টগ্রাম নগরের চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে মেয়ে সন্তান বদলে মৃত ছেলে সন্তান দেয়ার অভিযোগ এনেছেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার এক দম্পতি।

অভিযোগের সত্যতা নির্ণয়ে শিশু ও তার মায়ের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, পাঁচদিন আগে সেনবাগের বাসিন্দা রোকসানা বেগম এক নবজাতকের জন্ম দেন। নবজাতকটি নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ায় সে দিনই নোয়াখালী মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবজাতকটিকে রেফার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একদিন রাখার পর তাকে ভর্তি করা হয় নগরের বেসরকারি চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালে। মঙ্গলবার শিশুটিকে চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সেনবাগে শিশুটিকে নিয়ে যান তার বাবা-মা। সেখানে গিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তারা দেখতে পান নবজাতক ছেলে সন্তান। এরপর ওই নবজাতককে নিয়ে রাতে তারা পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করেন।

পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘মারাত্মক ধরনের নিউমোনিয়া আক্রান্ত নবজাতকটিকে প্রথমে নোয়াখালী মা ও শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল, তারা ওই নবজাতকের লিঙ্গ পরিচয় লিখে রাখেনি। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তারাও লিঙ্গ পরিচয় উল্লেখ করেনি।’

‘পরে চাইল্ড কেয়ারে ভর্তির সময় তারা ছেলে সন্তান লিখে ভর্তি করে। এরই মধ্যে শেভরণে (রোগনির্ণয় কেন্দ্র) ওই বাচ্চার একটি পরীক্ষা করানো হলে সেখানে মেয়ে লেখা হয়। এখন বাবা-মা দাবি করছে, তাদের মেয়ে সন্তান ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ছেলে সন্তান তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।’

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন কথা হচ্ছে, নবজাতকটির শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এই ধরনের অবস্থায় সাধারণত শিশু বাঁচে না। এখন এ ধরনের অসুস্থ বাচ্চা কেউ তো বদল করবে বলে মনে হয় না। এরপরও অভিযোগ যেহেতু এসেছে, আমরা নবজাতক ও তার মায়ের ডিএনএ টেস্ট করবো। না মিললে চাইল্ড কেয়ার হোক বা অন্য কোনো হাসপাতাল আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’

আবু আজাদ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।