প্রেমের টানে ফরিদপুরে মার্কিন নারী ব্যাংকার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৮

এবার ভালোবাসার টানে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফরিদপুরে এসেছেন এক মার্কিন নারী। তার নাম শ্যারুন খান (৪০)। তিনি পেশায় ব্যাংকার। ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসে গত ১০ এপ্রিল বিয়ে করেছেন ফরিদপুরের ছেলে মো. আশরাফ উদ্দিন সিংকুকে (২৬)।

আশরাফের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় শ্যারুন আর আশরাফের। পরে তা পরিণয়ে গড়ায়। পরিচয়ের সূত্র ধরে একসময় শ্যারুন বিয়ের প্রস্তাব দিলে রাজি হন আশরাফ। শ্যারুনকে বিয়ে করায় আশরাফ ও তার পরিবারও খুশি।

এদিকে, শ্যারুনকে দেখতে প্রতিদিনই আশরাফদের বাড়িতে ভিড় করছে এলাকাবাসী। শ্যারুনও সবার সঙ্গে বাংলায় কথা বলার চেষ্টা করছেন।

আশরাফের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামে। তিনি কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে আশরাফ সবার বড়। বাবা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক। বাবা ঢাকায় থাকলেও পরিবারে অন্য সদস্যরা ফরিদপুর নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্টাফ কোয়ার্টারে থাকেন।

এ বিষয়ে আশরাফ জানান, ছয় মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আমেরিকান ব্যাংক কর্মকর্তা শ্যারুনের সঙ্গে। কথা বলার একপর্যায়ে সে বিয়ে করার কথা জানায়। আর এরই একপর্যায়ে গত ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে আসে শ্যারুন। গত ১০ এপ্রিল তারা ঢাকায় বিয়ে করেন। শ্যারুন মুসলিম হওয়াতে বিয়েতে কোনো ঝামেলা হয়নি।

শ্যারুন বলেন, বাংলাদেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। এছাড়া আমার স্বামী, তার পরিবার ও এদেশের মানুষসহ গোটা পরিবেশ খুবই ভালো লেগেছে। আশা করছি, ২১ এপ্রিল চলে যাওয়ার পর দ্রুত আবার এখানে ফিরে আসবো।

এদিকে, পরিবারের সবাই বিদেশি বউ পেয়ে বেশ খুশি। এলাকায় আসার পরে স্থানীয় পাড়া-প্রতিবেশীরাও তাদের দেখতে আসছে। সবাই তাদের বিয়েকে স্বাগত জানিয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফের মা নার্গিস আক্তার বলেন, আমি খুব খুশি এমন পুত্রবধূ পেয়ে। সে আমাকে আম্মু বলে ডাক দিলে খুব ভালো লাগে। আমি তাদের জন্য দোয়া করি।

এএম/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।