ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচণ্ড দাবদাহে দুর্বিষহ জনজীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে চলছে প্রচণ্ড খরা। কয়েকদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ঠাকুরগাঁওয়ে। ইতোমধ্যে তাপমাত্রা উঠেছে ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মানুষের চলাচল ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য সময়টা ভালো যাচ্ছে না মোটেই। হাসপাতালগুলোতে রোগী বাড়ছে।
এর মধ্যে ডায়রিয়া ও গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। পাট ছাড়া ক্ষতি হওয়ার মতো মাঠে অন্য কোনো ফসল না থাকায় পানির অভাবে ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে ওই পাটের চারা।
গরমে মানুষ কাজকর্ম করতে পারছে না। দুপুরের দিকে শহরগুলো হয়ে পড়ছে ফাঁকা। বেশিরভাগ দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে দুপুরে। গ্রামে দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে। বিশেষ করে দুপুর ও সন্ধ্যায় বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে না।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রহিমানপুর এলাকার কৃষক সাদেকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, খরায় বেশিরভাগ ক্ষেতের পাটের চারা শুকিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সেচ দিয়ে পাট রক্ষার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রচণ্ড খরার কারণে সেচ দিলেও ক্ষেত দু`এক দিনের মধ্যেই শুকিয়ে যাচ্ছে। মানুষ অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে সেচ দিতে পারছেন না।
এ দিকে অতিরিক্ত তাপদাহ ও অসহ্য গরমের কারণে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যাচ্ছে। অনেকেই বাইরে বের না হয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বাড়িতে কাটিয়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ বা গরম থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ডাব, তালের শাস, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি খাচ্ছেন। রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি থাকছে কম। হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোয় জ্বর, ডায়রিয়া, পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আরশেদ আলী জাগো নিউজকে জানান, খরা দীর্ঘ হলে পাটের ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, অতি গরমের কারণে জ্বর, ডায়রিয়া বেড়ে চলেছে। আমরা হাসপাতালে তাদের সকল সেবা দিচ্ছি।
রবিউল এহসান রিপন/এমজেড/এমএস