আইনজীবী রথীশ হত্যায় কামরুলের স্বীকারোক্তি
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা (৫৮) হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কামরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে গত ৫ এপ্রিল তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিঞা জানান, কামরুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। ফলে রিমান্ডের অষ্টম দিনে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এই মামলায় গত ৫ এপ্রিল নিহত বাবু সোনার স্ত্রী দীপা ভৌমিকসহ কামরুলের দুই সহযোগী সবুজ ও রোকনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল গভীর রাতে নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝে খুঁড়ে বাবু সোনার মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। পারিবারিক কলহ, সন্দেহ, পরকীয়া প্রেম ও অশান্তি থেকেই স্বামী বাবু সোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দীপা। হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই মাস আগে থেকে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ মার্চ দীপা তার প্রেমিক ও সহকর্মী তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলামের সহযোগিতায় ভাত ও দুদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাবু সোনাকে হত্যা করেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৬ মার্চ শিক্ষক কামরুল ইসলামের নির্দেশে ৩০০ টাকার বিনিময়ে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মোল্লাপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে সবুজ ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান গর্ত খুঁড়ে রাখেন। পরে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কামরুলের নির্দেশে গর্তের আংশিক ভরাট কাজে তাকে সহায়তা করেন ওই দুই শিক্ষার্থী ।
জিতু কবীর/আরএআর/এমএস