বিয়ে ভাঙতে থানায় হাজির কিশোরী
নিজের বিয়ে ভাঙতে বাড়ি থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছে সাগরিকা নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। বিষয়টি আমলে নিয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীর বাবা ও খালুকে ডেকে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। অভিযোগকারী ছাত্রী রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বেইলি ব্রিজ এলাকার আলম মিয়ার মেয়ে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “ভলান্টিয়ার সার্ভিস ওভারসিসের” (ভিএসও) কর্মী ফুয়াদ হাসান জানান, সাগরিকা তার মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় বসবাস করে। তার মা-বাবা ওই এলাকায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন এবং সাগরিকা সেখানকার একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।
ছয়দিন আগে সাগরিকার খালু রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বেইলি ব্রিজ এলাকার জহুরুল হক তাকে গ্রামে নিয়ে এসে একই এলাকার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ের কথা চূড়ান্ত করেন। তিনদিন আগে পারিবারিকভাবে সাগরিকাকে আংটিও পরানো হয়। আজ (মঙ্গলবার) বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে আয়োজন শুরু করেছিলেন জহুরুল হক।
ফুয়াদ জানান, কম বয়সে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সোমবার ভোরে বাড়ি থেকে পালিয়ে রংপুরে আসে ওই ছাত্রী। শহরের কেরানিপাড়ায় ঘোরাঘুরি করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তার পরিচয় জানতে চাইলে সে সব খুলে বলে। পরে ওই ব্যক্তি দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে কোতোয়ালি থানার গেটে পৌঁছে দেন।
ফুয়াদ বলেন, সহকর্মী নওরিন সুলতানাসহ প্রয়োজনীয় কাজে থানায় গেলে সাগরিকার সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। তার মুখে বিস্তারিত শুনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষযটি জানাই।
পরে থানা থেকে তার বাবা, খালু ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে থানায় নিয়ে এসে রাত ১১টার দিকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল মিঞা জানান, ছয় বছরের আগে বিয়ে না দেয়ার শর্তে অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জিতু কবীর/বিএ