খুলনায় নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল উধাও


প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৫

মাত্র ৩/৪ দিনের ব্যবধানেই পাল্টে গেছে খুলনা মহানগরীসহ জেলার সড়কগুলোর চিত্র। এই কয়েক দিনে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সড়ক থেকে উধাও হয়ে গেছে নম্বরহীন মোটরসাইকেল। কমে গেছে নগরীতে টানা পার্টির অপতৎপরতা। গত ১৫ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নগর পুলিশ আটক করেছে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল।

 জানা গেছে, খুলনা মহানগরীসহ জেলায় হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেল নম্বরহীন অবস্থায় চলছে। দামি দামি এই মোটরসাইকেলগুলোর অধিকাংশই ব্যবহার করছে অল্প বয়সীরা। যারা মোটরসাইকেলের জ্বালানি যোগাড় করার জন্য চুরি ছিনতাইয়েে মতো আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গতির এই মোটরসাইকেল গুলোর সঙ্গে পুলিশের গাড়ি পাল্লা দিতে না পারায় শহর এবং শহরতলীতে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে যায়।

এছাড়া মাদক পরিবহনেও এই নম্বরহীন বাইকগুলো ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় জন পরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কয়েক শত মোটরসাইকেল। যার অধিকাংশই ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা হয়েছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র করার কোনো সুযোগই নেই। তবে পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তার বদৌলতে এখন বহাল তবিয়তে চলছে নম্বরহীন এই মোটরসাইকেলগুলো।

নম্বরহীন কোনো মোটরসাইকেল চলতে দেয়া হবে না রাস্তায়, এমন মন্তব্য করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সহকারী কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, নম্বর বিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যেসব বাইক আটক করা হচ্ছে সেগুলোর মালিক বিআরটিএতে রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিয়ে বৈধ কাগজ দেখিয়ে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে পারবেন। অন্যথায় কোনো মোটরসাইকেল ছাড়া হবে না। মিঠু আরো বলেন, নম্বরহীন মোটরসাইকেল আটক করায় খুলনায় অপরাধ প্রবণতা অনেক কমে গেছে।

জেলার পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধ কর্মকেণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে অভিযানের অংশ হিসেবে নম্বরবিহীন মোটরসাইকেল আটক অভিযান শুরু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার থানার পুলিশের মোটরসাইকেলও আটক করা হয়েছে।

আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।