চোখ ও নাভি দিয়ে রক্ত ঝরছে মীমের

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

ভয়াবহ এক রোগে আক্রান্ত পটুয়াখালীর ১৮ বছর বয়সী ফাতিমা জিনাত মীম। ডাক্তারের ভাষায় রোগটির নাম Heamolacria। এ রোগের কারণে বর্তমানে মীমের নাক, কান, চোখ এমনকি নাভী দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যখনই রক্তক্ষরণ হয় সঙ্গে সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যায় মীম। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ বার রক্তক্ষরণ হচ্ছে মীমের।

মীম পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মামুন হোসেনের মেয়ে। সে নারায়ণগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

পারিবারিকভাবে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট প্রথম তার ডান চোখ দিয়ে রক্ত পরা শুরু হয়। এরপর বহু ডাক্তার দেখিও কোনো লাভ হয়। তবে ডাক্তার বলেছেন, দ্রুত উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।

জিনাতের বাবা মামুন হোসেন বলেন, আমি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। এক ছেলে আর এক মেয়ের মধ্যে জিনাত বড়। গলাচিপা বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি গোল্ডেন-এ প্লাস, গলাচিপা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে গোল্ডেন-এ প্লাস এবং এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-এ প্লাস পেয়েছে। অত্যন্ত মেধাবী সে। অথচ টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না।

তিনি বলেন, মীমের চিকিৎসা করাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। আর পারছি না। ডাক্তার বলেছেন, দ্রুত চিকিৎসা না হলে হয়তো মীমের অবস্থা আরও খারাপ হবে।

সব মিলিয়ে চিকিৎসায় কেমন টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিকিৎসার ব্যয় সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে শুনেছি দেশেই এই চিকিৎসা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আমার মেয়ের বিষয়টা জানেন হয়তো বেঁচে যাবে মীম। এছাড়াও মীমের চিকিৎসায় কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন তার বাবার এই নম্বরে ০১৭১০২৫৪০৮৩ (বিকাশ)।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।