স্কুলের লাইব্রেরিতে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করল ছাত্রলীগ নেতা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ভোলা
প্রকাশিত: ০৯:৪৫ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

ভোলার মনপুরা উপজেলায় স্কুল চলাকালীন স্কুলের লাইব্রেরিতে আটকে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনাম আহমেদ।

এ ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষিকা বিচার পেতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে সোমবার মনপুরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও অভিযুক্ত ধর্ষক এনাম আহমেদের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। নির্যাতিত শিক্ষিকা দাবি করেছেন, ঘটনার বিষয়টি জানাজানি হলে এনাম আত্মগোপনে চলে যায়। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি দিচ্ছে।

গত ৩১ মার্চ সকাল সোয়া ৯টার দিকে ওই স্কুলের লাইব্রেরিতে এ ঘটনা ঘটে। ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হারিছ-রোকেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকা জানান, অন্যান্য দিনের মত ৩১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে তিনি স্কুলে প্রবেশ করে শিক্ষকদের বসার নির্ধারিত কক্ষ (লাইব্রেরি) খুলে বসেন।

ওই সময় এনাম কক্ষে প্রবেশ করে হঠাৎ দরজা আটকে দেয় এবং তাকে ধর্ষণ করে। প্রথমাবস্থায় ডাক চিৎকার দিলে কেউ শুনতে পায়নি। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে বের হয়ে বাইরে এসে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে ছাত্রলীগ নেতা এনাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সফিউদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন আমি স্কুলে ছিলাম না। তখন আমি মার্কার স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিংয়ে ছিলাম। ওই শিক্ষিকার বরাত দিয়ে সফিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, স্কুলের সিঁড়ির রুম দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বসবাস করে আসছিল এনাম। তিনি ছাত্রলীগ নেতা হওয়ায় আমরা তার ক্ষমতার সামনে জিম্মি।

এ বিষয়ে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম চৌধুরী পাপন বলেন, এনাম ছাত্রলীগের সহ-সভপতি। তবে তার বিরুদ্ধে ধর্ষেণের এমন অভিযোগ আমার জানা নেই।

নির্যাতিত স্কুল শিক্ষকা বলেন, ঘটনার পরপরই শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওকে অবহিত করেছি। তারা লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। আমি তা দিয়েছি। এখন তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় আমি সেটাই মেনে নেব। তবে আমি এমন ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সবাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এ ঘটনায় মামলা করা হবে। এখন মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।