ছেলের ভয়ে মা ফেরারি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লক্ষ্মীপুর
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৮

লক্ষ্মীপুরে মাদকাসক্ত ছেলের ভয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এক মা। নেশার টাকা না পেয়ে ছেলে রুবেল হোসেন (২৬) ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বিধবা মাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩১ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকায়।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রোববার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মা আয়েশা বেগম (৪২)। এতে তিনি নেশাগ্রস্ত ছেলেকে প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়ার আকুতি জানান।

অভিযোগে বলা হয়, রুবেলের বাবা মো. সোলায়মান সেনাসদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল তিনি মারা যান। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক সময় বড় ছেলে রুবেল বেশ স্মার্ট ও মেধাবী ছাত্র ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় নোয়াখালীতে থাকার সুবাদে পরিচয় হয় স্থানীয় বখাটেদের সঙ্গে। এ জন্য তার পড়ালেখা আর এগোয়নি।

একপর্যায়ে পড়ালেখা বন্ধ করে বন্ধুদের সঙ্গে নেশায় জড়িয়ে পড়ে সে। স্বামীর মৃত্যুর পর কোনোমতে মেয়েদের সহযোগিতায় সংসার চালিয়ে আসছেন মা। নিজের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ওই ছেলেকে টাকা দিতেন। এদিকে সম্প্রতি মাদকাসক্ত রুবেল বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রায়ই নেশার জন্য মায়ের কাছে টাকা দাবি করে।

সবশেষ শনিবার সকাল ১০টার দিকে মায়ের ভাড়া বাসা এসে ১০ হাজার টাকা চায়। টাকা দিতে অপরাগতা জানাতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে (মা) জবাই করার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তাকে কিল-ঘুষি, লাথি মেরে আহত করা হয়। এ সময় তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। পরে ঘরে থাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

জানতে চাইলে আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলে এক সময় খুব মেধাবী ছিল। এখন মাদক সেবন করায় সে দিনদিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। সে আমাকে প্রাণে হত্যা করে ফেলবে। তার ভয়ে আমি দুইদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এজন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, বিধবা নারীর অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসপি ও ওসির কাছে তা প্রেরণ করা হয়েছে।

কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।