চুয়াডাঙ্গায় ১৯ জনের চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু
চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ২০ রোগীর মধ্যে ১৯ রোগীর চোখে পচন ধরার পর চোখ তুলে ফেলার ঘটনায় তদন্ত কাজ শুরু করেছে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গঠিত তিন সদস্যের তদন্তকারী দল শনিবার দুপুর থেকে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। তারা আগামী ২ এপ্রিল সিভিল সার্জন চুয়াডাঙ্গা বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন।
তবে, এই তদন্তকারী দলের আহ্বায়ক ডা. শফি উজ্জামান সুমন তদন্তকাজ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এই তদন্তই শেষ নয়, এরপর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল আসবেন।
তদন্ত দলে রয়েছেন আহ্বায়ক ডা. শফি উজ্জামান সুমন, ডা. ডাক্তার তারিক হাসান ও ডা. আবুল হোসেন।
তদন্তকারী দলটি দুপুর ১২টায় প্রথমে চুয়াডাঙ্গার কেদাগঞ্জস্ত ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারসহ সব ম্যাটেরিয়াল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর তদন্ত দলটি দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়ার চকপাড়ায় ভুক্তভোগী অলি আহম্মেদ এর বাড়িতে যান এবং অলি আহম্মদের সঙ্গে তার চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হাসপাতালে ২০ নারী-পুরুষ চোখের ছানির অপারেশন করেন। আর ছানি অপারেশন করেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে ঢাকায় নিয়োগকৃত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মেদ সাহিন।
এদিকে অপারেশনের দু’দিনের মাথায় অপরেশনকৃত ২০ রোগীর মধ্যে অসহায় ও হতদরিদ্র ১৯ রোগীর চোখে পচন শুরু হয় এতে রোগীরা চোখের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ছুটে আসেন ইমপ্যাক্ট হাসপাতালে।
হাসপাতাল কর্তৃকপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গত ৯ মার্চ ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের দ্রুত ম্যানেজ করে ও ভুক্তভোগীরা যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারে সেই ব্যাপারে রোগীদের সার্বিক সহযোগিতার কথা ও উন্নত চিকিৎসার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দিতে থাকে।
চিকিৎসা দিয়েও যখন চোখের পচনরোধ করা সম্ভব হয়নি তখন রোগীদের ম্যানেজ করে গত ২০ মার্চ তাদের চোখ তুলে ফেলা হয়।
এমএএস/জেআইএম