ইউএনও’র কাছে বৃদ্ধার আকুতি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৮

একটা কার্ড কইরা দেন মা, একটা কার্ড কইরা দেন। আমি স্বামী হারা। আমার কোনো গতি নাই। সরকার থেকে যে টেকা দেয়, ওই একটা কার্ড কইরা দেন মা। সরকারের কাছ থাইকা কয়ডা টেকা পেইলে বাঁচতে পারমু। চেয়ারম্যান মেম্বাররা আমারে একটা কার্ড দেয় নাই। কোনো গতি করে নাই। আপনি মা আমার জন্য একটা কিছু করেন। এ কথাগুলো কোনো নাটক বা সিনেমার সংলাপ নয়।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীনের অফিসে এসে ষাটোর্ধ্ব জায়েদা বেগম নামে এক বৃদ্ধা এভাবেই বলছিলেন। ওই বৃদ্ধার বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের জামুর্কী উত্তরপাড়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত আইন উদ্দিন মিয়া।

সকালে স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছিলেন। কর্মসূচিকে সফল করতে সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ছাড়াও শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে মতবিনিময় করছিলেন। এ সময় বৃদ্ধা জায়েদা বেগম তার অফিস কক্ষে এসে করুণ আকুতিতে একটি ভাতার কার্ড কামনা করেন।

তিনি জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার ধর্ণা দিয়েও একটি কার্ড পাননি বলে জানান। বৃদ্ধার আকুতি শুনে নির্বাহী কর্মকর্তা তার নাম পরিচয় লিখে রাখেন এবং তাকে একটি কার্ড করে দেয়ার আশ্বাস দেন। পরে বৃদ্ধা জায়েদা বুকভরা আশা নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।

মির্জাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বয়স্ক ও বিধবাদের তালিকা আমরা করি না। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এই তালিকা করে আমাদের অফিসে দিয়ে থাকেন।

এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।