কফিনে বাড়ি ফিরলেন খুলনার আলিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ২৩ মার্চ ২০১৮

গিয়েছিলেন নেপালে বাণিজ্য মেলা দেখার জন্য। কিন্তু সে সাধ আর পূরোণ হলো না। নেপালের মাটি ছোঁয়ার আগেই পুড়ে অঙ্গার হতে হলো আলিফুজ্জামান আলিফকে। হাসিমুখে বাড়ি থেকে বিদায় নিলেও বাড়ি ফিরলেন কফিনে করে।

মৃত্যুর ১১ দিন পর শুক্রবার ভোরে আলিফের মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি তার বাড়ির আঙিনায় এসে পৌঁছায়। অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছানো মাত্রই স্বজনসহ শত শত মানুষ তাকে দেখার জন্য ছুটে আসেন। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আলিফুজ্জামানের নামাজের জানাজা শুক্রবার বাদ জুম্মা রূপসার বেলফুলিয়া ইসলামীয়া হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে রাজাপুর মাদরাসা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে নজরুল ইসলাম, পিয়াস রায় ও মোহাম্মদ আলিফুজ্জামানের মরদেহ নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৭২ নামে একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে আলিফুজ্জামানের বড় ভাই আশিকুর রহমান হামিম ও তার স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

সন্ধ্যায় রাজধানীর বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলিফুজ্জামানের জানাজার নামাজ শেষে খুলনার উদ্দেশে মাওয়া ঘাট হয়ে রওনা দেয় মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি।

খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতী এলাকার বাসিন্দা আলিফুজ্জামান ৩ ভাইয়ের মধ্যে মেজ ছিলেন। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আসাদুজ্জামান। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন আলিফুজ্জামান। খুলনার সরকারি বিএল কলেজ থেকে এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দিচ্ছিলেন তিনি।

আলমগীর হান্নান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।