মাইক্রোবাসে হাত-মুখ বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ, মূল হোতা ধরা
মানিকগঞ্জে মাইক্রোবাসে তুলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ও ধর্ষণের মূল হোতা নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে শহরের দুধবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। একই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আরও তিন আসামি এখনো পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১০ মাস আগের এই গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু বাদী এতে নারাজি দিলে মানিকগঞ্জের নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাসাইল গ্রামের ওই গৃহবধূ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২৩ মে নবীনগর যাচ্ছিলেন। তার পূর্বপরিচিত মানিকগঞ্জ শহরের দুধবাজার এলাকার ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম তাকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে তোলে।
পরে রাস্তা থেকে অজ্ঞাত আরও তিন ব্যক্তিকে মাইক্রেবাসে তুলে নেয় নজরুল। এরপর ওড়না দিয়ে তার হাত-পা মুখ বেঁধে মাইক্রোবাসে চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত ১১টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে ফেলে দিয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গৃহবধূকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ ঘটনার তিনদিন পর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। ওই নারীর দাবি, সরকারি দলের এক প্রভাবশালী যুবলীগ নেতার সঙ্গে মূল আসামি নজরুলের সখ্যতা থাকায় পুলিশ আসামি নজরুলকে গ্রেফতার করেনি। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করেন মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আশফাক রাজিব হাসান। তদন্ত শেষে তিনি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বি.এম খোরশেদ/এএম/এমএস