তিন যুগ ধরে দখলদারদের কবলে রেলের জায়গা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ২০ মার্চ ২০১৮

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলের জায়গায় প্রায় তিন যুগ আগে থেকে অবৈধ দখলদারদের কবলে থাকলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। লাহিড়ী মোহনপুর, ক্লিকমোড় ও শ্যামপুর এলাকায় প্রভাবশালী দখলদাররা স্থায়ী বসতবাড়ি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেও কারো মাথা ব্যথা নেই।

ঢাকা-ঈশ্বরদী রেললাইনের পথে উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর ও শ্যামপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি দোকান ও বসতি রয়েছে। রেলপথের পাশে অবৈধ বসতির কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর রেল স্টেশনের দুই পাশে প্রায় দুই শতাধিক দোকান ও বেশ কিছু বসতবাড়ি রেলের জায়গায় গড়ে উঠলেও রহস্যজনকভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

ral-line1

এখানকার রেলের জায়গায় বিভিন্ন দোকান, সমিল, মাছের আড়ৎ, স্কুল, সমিতি অফিস থাকলেও রেল কর্তৃপক্ষ কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। লাহিড়ী মোহনপুরে রেল বিভাগের জলাশয়, ও ৫০/৬০ বিঘা জয়গা দখলদারদের কবলে চলে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন যুগ আগে থেকে রেলের জায়গায় দোকান ও বসতবাড়ি গড়ে তুলে স্থায়ীভাবে বসবাস, ব্যবসা করে আসলেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দখলদারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়া ক্লিকমোড় ও দহকুলামুখি রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি সমিলসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান দীর্ঘদিন ধরে রেলের জায়গায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তাদের উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই।

উল্লাপাড়ার রেলের আমিন মো. শরিফুল ইসলাম জানান, লাহিড়ী মোহনপুর থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রেলপথ এলাকায় রেলের প্রায় ১৫০ একর সম্পত্তি আছে। উল্লাপাড়া হয়ে ঢাকার সঙ্গে কলকাতাসহ উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে দিনরাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় ৩২টি ট্রেন চলাচল করে।

ral-line1

লাহিড়ী মোহনপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. আব্দুল মান্নান জানান, তার এলাকায় রেলের জায়গা অবৈধ দখল ও রেলপথে দোকানপাট বসানোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।

উল্লাপাড়া রেলস্টেশন মাস্টার মো. শামছুল আলম জানান, রেলের জায়গা অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে। বিষয়টি রেলের এস্টেট বিভাগ দেখাশোনা করে। তারাই পদক্ষেপ নেবেন।

সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানা পুলিশের ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, অবৈধ বসবাসে দুর্ঘটনার ঝুঁকিতো থাকেই। তবে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে রেল বিভাগ সহায়তা চাইলে অবশ্যই সহায়তা করা হবে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলের এস্টেট অফিসার মো. ইউনুছ আলী জানান, রেলের জায়গায় অবৈধ বসতি থাকবে না। ইতোমধ্যে উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। যেখানেই রেলের জায়গায় অবৈধ বসতি ও দোকান ঘর রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হবে।

ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।