স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিলো কালু
বরিশাল নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুর গণপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সিমা আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে তিন সন্তানের জনক আবুল কালাম কালু (৩৫)।
বুধবার দুপুরে বরিশাল মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেয় আবুল কালাম কালু। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে কালুকে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত রেখে সংবাদ সম্মেলন করেন মহানগর পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন।
গত রোববার বিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের অদূরে একটি কবরস্থানে সীমার বস্তাবন্দি মৃতদেহ পাওয়া যায়। রাতে বিমানবন্দর থানা পুলিশ সন্দেহজনকভাবে বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা কালুকে গ্রেফতার করে।
নিহত সিমা আক্তার বরিশাল নগরী সংলগ্ন গণপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে ও পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ঘাতক আবুল কালাম পেশায় ট্রাক চালকের সহকারী।
পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন ঘাতক আবুল কালাম কালুর স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জানান, বিদ্যালয়ের টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সীমা আক্তার গত রোববার দুপুরে বিদ্যালয় সংলগ্ন কালুর বাড়িতে টয়লেটে যায়।
স্ত্রী-সন্তান বেড়াতে যাওয়ায় কালু ওই সময়ে বাড়িতে একা ছিল। সীমা টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর সে সীমাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে মুখে তোয়ালে চেপে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনা প্রকাশের আশঙ্কায় সীমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কালু। ওই রাতেই মরদেহ বস্তাবন্দি করে কালু তার বাড়ির অদূরে হালিম মাস্টারের বাড়ির প্রবেশ পথে কবরস্থানে ফেলে রাখে।
পুলিশ কমিশনার জানান, মরদেহ উদ্ধারের সময় সীমার শরীরে স্কুলের পোশাক থাকলেও পাজামা ছিল না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কালু জানিয়েছে, তড়িঘড়ি করে মরদেহ বস্তার ভরার সময় ভুলে পাজামা পরানো হয়নি। পরে তার দেখানো অনুযায়ী বাড়ির পেছনে পুকুরে পানির নিচে লুকিয়ে রাখা পাজামা উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, সীমার ঘাতক গ্রেফতার ও স্বীকারোক্তির পর আবুল কালাম কালুকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেছেন সিমার মা মাহমুদা বেগম। ঘাতকের ফাঁসির দাবিতে বুধবার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও স্বজনরা বিমানবন্দর থানার সামনে মানববন্ধন করেছেন।
সাইফ আমীন/এএম/এমএস