কাশিয়ানীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭


প্রকাশিত: ০৫:৫৭ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৫

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১ টায় ঢাকা-খুলনা মহসড়কের ভাটিয়াপাড়া মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মাইক্রোবাস ড্রাইভার হানিফ (২৮)। তার বাড়ি ফরিদপুর সদরে। অন্যরা হলেন, নড়াইল জেলার নড়াগাতীর ফুল মিয়ার ছেলে বাবু শেখ (৪৫), নড়াইল জেলার কালিয়ার আসাদুজ্জামান শেখের মেয়ে তানিয়া (৩০), নড়াইলের লোহাগাড়ার মিরাজ মিয়ার স্ত্রী মেহেদী বেগম, একই এলাকার মিজানুর রহমান (৫০)। অপর দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতরা সকলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, কাশিয়ানীর ব্যাসপুর থেকে গোপালগঞ্জগামী আশিক সাগর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে কালনা থেকে মাওয়াগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবু শেখ নিহত হন এবং ১৬ জন আহত হন। আহতদের কাশিয়ানী উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়। আহত অপর ৬ জনকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ২ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কাশিয়ানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, আহত পলাশ, জামাল, জুয়েল, রিতা, আজিজ, বিপ্লবকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোজী ও সাদ্দামকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে  পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাস যাত্রী ফরিদপুর জেলার ইকরাইল গ্রামের পলাশ জানান, মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো চ ১১-০৬৫০) কাশিয়ানী উপজেলার কালনা ঘাট থেকে ১৪ জন  যাত্রী নিয়ে মাওয়া ঘাটের দিকে রওনা দেয়। ভাটিয়াপাড়ায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আসিক সাগরের একটি লোকাল বাসের (যশোর জ ০৪-০০৪৫) সঙ্গে মুখোমুখি সংষর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারসহ যাত্রীরা হতাহত হয়।

কাশিয়ানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত ৫ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকী দুইজনের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

এস এম হুমায়ূন কবীর/এমএএস/এসএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।