বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শ্রেয়া ঝাহ্ কুমুদিনী মেডিকেলের ছাত্রী

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৮
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শ্রেয়া ঝাহ্

শ্রেয়া ঝাহ। বয়স ২৫। বাড়ি নেপালে। নিজেকে মানুষের সেবায় বিলিয়ে দিতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মির্জাপুর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে এসেও তা আর সম্ভব হলো না। গতকালের বিমান দুর্ঘটনায় নিমেষেই সব শেষ হয়ে গেল।

সোমবার নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্সের নিহত যাত্রীদের একজন হলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ছাত্রী শ্রেয়া ঝাহ্।

তিনি এমবিবিএস কোর্সের ৫ম বর্ষের ছাত্রী। তার রোল নম্বর ১০৫। সেশন ২০১৩-২০১৪। বিমান দুর্ঘটনায় তার এই মৃত্যুতে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় বান্ধবী ও সহপাঠিকে হারিয়ে ক্যাম্পসের ছাত্রীরাও শোকে কাতর।

মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.এম এ হালিম শ্রেয়ার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে শ্রেয়ার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসের ঝান্ডা হলে শোক ও প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শিক্ষক ও সহপাঠীরা জানিয়েছেন, শ্রেয়া ঝাহ্ ছিলো অত্যন্ত মেধাবী, প্রাণবন্ত, শান্তিপ্রিয়, হাসিখুশি সংস্কৃতিমনা একটি মেয়ে। তিনি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খুবই পারদর্শী ছিলেন। এ জন্য ক্যাম্পাসে তার জনপ্রিয়তা ছিলো বেশ। সময় পেলেই চলে যেতেন নেপালে। নেপালে বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসতেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাড়ি যাওয়ার জন্য শ্রেয়া কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার বিমানে নেপাল যান। নেপালের স্থানীয় সময় ২টা ২০ মিনিটে তাদের বহন করা বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫০ জন নিহত হন। বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মিছিলের সঙ্গী হন শ্রেয়া ঝাহ্ও।

এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।