প্রেম ভাঙায় প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত
কিশোরগঞ্জে সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শাখার শেষবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা ইলমি সুলতানা (২১)।
প্রেমের সম্পর্ক ভাঙায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা ইলমি সুলতানাকে ছুরিকাঘাত করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ইমরান (২১)।
শনিবার দুপুরে শহরের খড়মপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) শেষবর্ষের ছাত্রী সৈয়দা ইলমি সুলতানার সঙ্গে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষবর্ষের ছাত্র ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইলমি সুলতানার গ্রামের বাড়ি জেলার তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রামে। তার বাবা কিশোরগঞ্জ জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট।
সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হলে ইমরান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরছিল সৈয়দা ইলমি সুলতানা। খড়মপট্টি এলাকায় আসার পর ইমরান জোর করে ওই ছাত্রীর রিকশায় উঠে পড়ে। এ সময় বাধা দিলে তার মুখ ও পিঠের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইমরান। আশপাশের লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত ইলমি সুলতানার মা সৈয়দ ফারিয়া সুলতানা ও বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, তাদের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার সময় খড়মপট্টি এলাকায় ইমরান জোর করে তার রিকশায় উঠে পড়ে। বাধা দেয়ায় তাকে ছরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, ঘটনার পর থেকে ইমরানকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ইমরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ফারজানা খানম।
নূর মোহাম্মদ/এএম/জেআইএম