কীর্তনখোলা নদীতে আরও এক মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল
প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮

বরিশালের চরমোনাই লঞ্চঘাট সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে আরো একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে উদ্ধারকৃত মরদেহের সংখ্যা বেড়ে হলো ৭টি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে মুসুল্লিরা পুলিশ ও মাহফিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার মরদেহটি যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার মৃত হাসান মোড়লের ছেলে সোহরাব মোড়লের (৫৫) বলে নৌ-পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরো ৬টি মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

ট্রলারডুবিতে নিহতরা হলেন, গাজীপুর জেলার আমানউল্লাহ দেওয়ানের ছেলে শাহ আলী (২৮), একই জেলার জাকির হোসেন দিলদার (৩০), আবদুল মালেকের ছেলে ইফতেখার (৯), মুন্সীগঞ্জ জেলার বাদশা ঢালী (৬৫), ময়মনসিংহ জেলার মকবুল হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), লক্ষ্মীপুর জেলার হেদায়েত হোসেনের ছেলে আবদুল কুদ্দুস (২৪) ও যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকার মৃত হাসান মোড়লের ছেলে সোহরাব মোড়ল (৫৫)। ট্রলার ডুবিতে নিহতরা চরমোনাই মাহফিলে আগত মুসল্লি ছিলেন।

বরিশাল নৌবন্দর পুলিশের ওসি বেল্লাল হোসেন জানান, গত ৭ মার্চ মাহফিলের উদ্দেশ্যে বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি চরমোনাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চরমোনাই ঘাটে ভিড়ানোর পূর্বে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের পেছনে নোঙ্গর করে আরো যাত্রী তোলার সময় ট্রলারটি কাত হয়ে যায়। এ সময় পিছনে থাকা আরেকটি ট্রলার দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে তা ডুবে যায়।

ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। তবে কয়েকজন নিখোঁজ ছিলেন। এরপর বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে বড় বড় লঞ্চ সরিয়ে উদ্ধার অভিযান চালালেও কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি।

সাইফ আমীন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।