চরম ক্ষুব্ধ হোটেল মালিক বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন
কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল মেরিন প্লাজার পরিচালক মাহমুদুল হককে রাজধানীর নিউইয়র্ক হোটেল থেকে ইয়াবাসহ আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিফতরের একটি দল।
গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে তাকে আটক করে দলটি। মাহমুদুল হকের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (এডি) খুরশিদ আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওই অভিযানে পৃথকভাবে আরও ছয়জন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় অন্যদের কাছ থেকে সাড়ে ২৮ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করার তথ্য জানালেও মাহমুদুল হকের কাছ থেকে আলাদাভাবে কী পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া গেছে তা জানানো হয়নি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হোটেল মেরিন প্লাজার ম্যানেজার শিমুল খান বলেন, আমরাও বিষয়টি শুনেছি। মাহমুদুল হক রোববার বেলা ১১টার ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে ঢাকা গেছেন। সেখানেও তার ব্যবসা রয়েছে। তিনি কক্সবাজার-ঢাকা আসা-যাওয়ায় সব ব্যবসা দেখভাল করতেন বলে জানান শিমুল খান।
হোটেল মেরিন প্লাজার মালিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দীন আহমদ। দু’বছর আগে তার কাছ থেকে হোটেলটি ভাড়া নেন মাহমুদুল হক। মাহমুদুল হক ইয়াবাসহ ধরা পড়ার ঘটনায় ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহ উদ্দিন আহমদ চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার কাছের একটি সূত্র। তিনি অতি শিগগরিই হোটেলটি মাহমুদুল হকের কাছ থেকে নিয়ে ফিরিয়ে নেবেন বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।
অভিযোগ রয়েছে, মাহমুদুল হক হোটেল ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মেরিন ড্রাইভ সড়কে হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের হাতে চৌফলদন্ডীর হামিদুল হক নামে এক টমটম চালক দু’হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক হন।
ওই সময় হামিদুল স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, চৌফলদন্ডীর কালু ফকির পাড়ার মো. শাহ আলমের ছেলে শাকিল, উত্তর গোমতলীর নুরুল হুদার ছেলে মিজানসহ একটি সিন্ডিকেট টেকনাফের মৌলভীপাড়ার কায়েসের কাছ থেকে ইয়াবা চালান এনে হোটেল মেরিন প্লাজায় সরবরাহ করতো। এ সিন্ডিকেটে হোটেলের বয় চৌফলদন্ডীর আরমান, মিজানসহ মেরিন প্লাজার কর্মকর্তারা জড়িত বলে দাবি করেছিলেন হামিদুল।
কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, মাহমুদুল হকের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাচ্ছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে। তার উপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। পর্যটন এলাকার একটি উন্নতমানের হোটেলের এমডি হিসেবে বিনা প্রমাণে তাকে আটক করা যাচ্ছিল না। শেষ মেষ তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ প্রমাণ হলো।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস