নওগাঁয় খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি শুরু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৬:২২ পিএম, ০৫ মার্চ ২০১৮

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। রোববার থেকে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি করার কথা থাকলেও সোমবার থেকে তা শুরু হয়। খোলা বাজারে প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং আটা ১৭ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে অতি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিও শুরু হয়েছে।

এ কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন ৫ কেজি চাল ও ৩ কেজি করে আটা কিনতে পারবেন। প্রতিজন ডিলার ১ মেট্রিক টন চাল ও ১ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করতে পারবেন। শুক্রবার ছুটির দিন ব্যাতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচির প্রথম দিন ডিলারের দোকানগুলোতে চাল-আটা কিনতে উপড়ে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজার সূত্রে জানা যায়, পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, স্বর্ণা ৪০ টাকা, মোয়াজ্জেম ৬০-৬২ টাকা, কাটারি ৬২-৬৫ টাকা ও হাইব্রিড চাল ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারে এ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ কর্মসূচিটি সারা বছর চালু রাখা এবং চাল-আটা বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা। দফায় দফায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণদের নাভিশ্বাস ওঠে। সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে খোলা বাজারে ওএমএস চাল বিক্রি শুরু করেছে।

Naogaon-OMS-1

শহরের বরুনকান্দি গ্রামের গৃহবধূ সালমা বলেন, আমরা গরীব মানুষ। সারা বছর চাল কিনে খেতে হয়। বাজারের চালের দাম আগুন। ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল কিনেছি। সরকার থেকে কম দামে চাল পাওয়ায় এখন কিছুটা স্বস্থি পাচ্ছি। সরকারের এ কর্মসূচি সারা বছর চালু থাকলে আমাদের মতো গরীবদের জন্য সুবিধা হয়।

শালুকা গ্রামের রাজমিস্ত্রী জোগাড়দার আশরাফুল বলেন, জীবিকার তাগিদে কখনো ভ্যান, রিকশা ও কৃষি কাজ করতে হয়। সারাদিনে যা আয় হয় পরিবারের পাঁচ সদস্যের জন্য চাল ও কাঁচা বাজার করতেই শেষ হয়ে যায়। সরকার থেকে যে চাল-আটা দেয়া হচ্ছে তা পেয়ে অনেকটা সুবিধা হচ্ছে। তবে আটা ৩ কেজির পরিবর্তে ৫ কেজি পাওয়া গেলে আরও সুবিধা হতো।

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, জেলা সদরে ৫ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ৫ টন চাল শহরের ৫টি পয়েন্টে বিক্রি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জেলার ১১টি উপজেলায় ২০৩ জন ডিলারের মাধ্যমে কার্ডধারী ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ জনের মাঝে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার ১১টি উপজেলার ১৯টি গুদামে ২৩ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। এছাড়া গম আছে ৩ হাজার ৮৪৮ মেট্রিক টন।

আব্বাস আলী/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।