জামায়াত নেতার দোকানে কাজ করতেন ফয়জুর
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফায়জুর রহমান ওরফে শফিকুর সিলেট নগরের জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশনে ‘মঈন কম্পিউটারে’ কম্পোজিটর হিসেবে কাজ করত।
মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মঈন উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার দিন শনিবার রাত ১২টায় রাজা ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় মঈন কম্পিউারে র্যাব-৯ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিনটি কম্পিউটার পিসি ও ৩টি পেনড্রাইভ জব্দ করে নিয়ে যায়। এরপর ওইদিন রাত ২টার দিকে নগরের কুয়ারপারস্থ বাসা থেকে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত দোকান মালিক মঈন উদ্দিনকে আটক করে র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, মঈন উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঈন কম্পিউটার থেকে কয়েকটি পিসি ও পেনড্রাইভ জব্দ করার কথা জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এদিকে রোববার দুপুরে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা রাজা ম্যানশনে গিয়ে ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিন ও ফায়জুরের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথা, পিঠ ও হাতে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর। পরে হামলাকারীকে শিক্ষার্থীরা ধরে পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে। রাত সাড়ে ৯টায় র্যাব তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাগীব রাবেয়া হাসপাতাল ও পরে সিলেট সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আর অধ্যাপক জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর রাতেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় সিএমএইচ হাসপাতালে আনা হয়।
এ ঘটনায় ফায়জুরের বাবা-মা, চাচা, মামা এবং সে যে দোকানে চাকরি করত সেই দোকানের মালিক মঈন উদ্দিনসহ ৫ জনকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ।
ছামির মাহমুদ/এফএ/জেআইএম