বন্যায় ভাঙা রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেই
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের ভাঙ্গামোড় গ্রামে গত বছরের বন্যায় ভেঙে যাওয়া একটি রাস্তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এ কারণে চলাচল করতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে। এখন তাদেরকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভরতখালীর তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তার দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০৩-২০০৭) ভাঙ্গামোড়-সানকিভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তাটির অনেক উন্নয়ন করেন। এখন এটিই সহস্রাধিক মানুষের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
কিন্তু গত বছরের আগস্ট মাসের বন্যায় একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে তৈরি কাতলামারী-সানকিভাঙ্গা বাঁধের ভাঙ্গামোড় গ্রামে ২০০ মিটারেরও বেশি অংশ ভেঙে গেলে প্রবল পানির স্রোতে এই রাস্তাটির প্রায় ৫০ মিটার স্লুইসগেট সংলগ্ন পশ্চিম পাশের অংশ ভেঙে যায়। পরে ভেঙে যাওয়া ওই অংশে স্থানীয়রা একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। এখন সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে মানুষজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙ্গামোড় গ্রামে স্লুইস গেট সংলগ্ন রাস্তাটিতে বন্যায় ভেঙে যাওয়া স্থানে একটি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করছে। এছাড়া সাইকেল-মোটরসাইকেল, রিকসা-ভ্যান চলাচল করতে পারে না সাঁকোটির উপর দিয়ে।
ভাঙ্গামোড় গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, গত বন্যায় নদীর পানির চাপে স্লুইস গেট সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙে গেলে আমাদেরকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এরপর সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলে দুর্ভোগ লাঘব হয়। কিন্তু এখন সেই সাঁকোটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। চলাচল করতে ভয় লাগে। তাই দুর্ভোগ লাঘবে এখানে মাটি দিয়ে ভরাট করা দরকার।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার ঘোষ মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, ভেঙে যাওয়া ওই অংশটি মার্চ মাসে ৪০ দিনের মাটি কাটার কাজের মাধ্যমে ঠিক করে দেয়া হবে।
রওশন আলম পাপুল/এমএএস/এমএস