ঝালকাঠিতে ২১৪টি আয়রন ব্রিজই অচল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ১১:২১ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৮

ঝালকাঠিতে এলজিইডির আওতাধীন আয়রন ব্রিজগুলো একের পর এক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার মোট ৪শ আয়রন ব্রিজের মধ্যে ২১৪টিই ব্যবহার অনুপযোগী। এই বিধ্বস্ত ব্রিজগুলোর মধ্যে সিডরে বিধ্বস্ত ব্রিজও রয়েছে।

১৯৯৫-২০০৪ সালের মধ্যে নির্মিত এসব ব্রিজ সংস্কার বা প্রতিস্থাপন না করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছে, ব্রিজগুলো পুনর্বাসনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পোনাবালিয়া খালের ওপর নির্মিত নলছিটির নাচনমহল ও পোনাবালিয়া দুই ইউনিয়নের সংযোগ ব্রিজটি ২০০৭ সালে সিডরে বিধ্বস্ত হয়। পরে ভাঙা অংশে স্থানীয়রা বাঁশ এবং সুপারি গাছ দিয়ে মেরামত করে কোনো রকমে যোগাযোগের উপযোগী করে। জেলায় এ ধরনের ব্রিজের সংখ্যা অন্তত ৫০টি।

JHALAKATI

এছাড়া নড়বড়ে ব্যবহার অনুপযোগী ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ রয়েছে আরও ১৬৪টি। এসব ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মানুষও চলাচল করতে পারে না। কোনো কোনো এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যাতায়াত করছে এলাকাবাসী। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী এবং পণ্য আনা নেয়ায় সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় কয়েকটি সড়ক সংস্কার করা হলেও ১০ বছরেও সিডরে বিধ্বস্ত সেতুগুলো সংস্কার বা পুনঃনির্মাণ করা হয়নি। এসব সেতুর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণগুলো হলো- টেকেরহাট-পোনাবালিয়া সংযোগ সেতু, নাচনমহল-রানাপাশা ও সরমহল-পুনিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতু। এই সেতুগুলো দিয়ে যানবাহন একেবারেই চলাচল করতে পারছে না।

এদিকে জেলার কাঠালিয়া উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আমুয়া হাসপাতালে যাতায়াতের প্রধান সড়কের আমুয়া খালের উপর আয়রন ব্রিজটির মাঝের অংশ প্রায় দেড় বছর আগে ভেঙে যায়। এরপর থেকে হাসপাতাল এবং খালের দুই পাড়ের লোকজন পারাপারের জন্য নৌকায় যাতায়াত করছেন। বন্ধ হয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারও।

JHALAKATI

অপরদিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার চেচঁরীরামপুর ইউনিয়নের বানাইমহিষকান্দি বাকেরখালের ওপর আয়রন ব্রিজটি ভেঙে প্রায় ৬ বছর ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ফলে কাঁঠালিয়া তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ, বানাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বানাই বালিকা বিদ্যালয়সহ ১০-১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও প্রায় লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

কাঁঠালিয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী অমল চন্দ্র রায় জানান, ১৯৯২ সালে এলজিইডি এ সেতুটি নির্মাণ করে। ১৯৯৮ সালে এ রাস্তাটি সওজের আওতায় চলে যাওয়ায় এ ব্রিজের দেখভাল করার দায়িত্ব এখন তাদের।

আতিকুর রহমান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।