এবার সেই পাগলির পাশে ব্যাংকার শামীম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৬:০৩ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৮

মাদারীপুরের শিবচরের সেই মানসিক প্রতিবন্ধী (পাগলি) নারীকে জাতীয় মানসিক হাসপালাতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যমুনা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শামীম আহমেদ ও তার বন্ধুরা ওই নারীকে নিয়ে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন। তারা ওই নারীকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহনসহ পরবর্তীতে পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর ধরে জেলার শিবচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় ময়লা, ছেঁড়া কাপড় ও এলোমেলো চুলে ঘুরে বেড়ানো পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ওই পাগলি গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় হাতির বাগান মাঠ সংলগ্ন বালুর মাঠে এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন। শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বালুর মাঠে নবজাতক ও পাগলিকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা আশপাশের বাড়ির নারীদের ডেকে নিয়ে এসে বালু থেকে শিশুটিকে তুলে পরিষ্কার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স মিলে তাদের পরিচর্যা করে সুস্থ করে তোলেন। পরিচয় জানতে চাইলে অসংলগ্নভাবে নিজের নাম সালমা বলে জানান ওই নারী।

নবজাতক শিশুটির নাম রাখা হয় জান্নাতুল হাবিবা হুমাইরা। তবে সহায় সম্বলহীন পাগলি মায়ের কাছে শিশুটির ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ফেসবুকে খবর দেখে সিলেটের এক নিঃসন্তান সরকারি কর্মকর্তা দম্পতি শিশুটির দায়িত্ব নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। শনিবার রাতে শিবচর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে ওই নিঃসন্তান সরকারি কর্মকর্তা দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ ও তার বন্ধুরা প্রতিবন্ধী মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন।

এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।