ভেজাল খাবার খেয়ে ঈশ্বরদীতে শিশুসহ ৫০ জন হাসপাতালে


প্রকাশিত: ১২:৫৩ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৫

নিম্নমানের ভেজাল সেমাই ও বিভিন্ন প্রকার খাদ্য খেয়ে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ পেটের পীড়া, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ঈদের দিন শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত অন্তত ৫০ জন রোগী ঈশ্বরদী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের একাধিক সূত্র ও রোগীর স্বজনদের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

জানা যায়, প্রশাসন, বিএসটিআই ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের গাফিলতির সুযোগে বেশ কিছুদিন থেকে ঈশ্বরদী শহর ও আশে-পাশের এলাকার হাট-বাজারে নিম্নমানের সেমাই, লাচ্ছা, ফাস্টফুড, দই-মিষ্টি, ঘি, সস্, বিরানীসহ বিভিন্ন প্রকার ভেজাল খাদ্য দ্রব্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদ মৌসুমকে সামনে রেখে ভেজাল পণ্য ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারী কারখানা মালিকরা আরো মরিয়া হয়ে উঠে। তারা ঈদের বাজারে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের টার্গেট করে জোড়ে সোরে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করে। বিভিন্ন নামি-দামি ব্রান্ডের চটকদার মোড়কের আদলে নকল মোড়কজাত এসব পণ্য নানা কৌশলে বাজারজাত করে। ক্রেতারা না বুঝেই এসব ভেজাল খাদ্য দ্রব্য ঈদের জন্য কিনে নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই নতুনহাট গোলচত্বরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল ঘি ও সস তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। এ সময় পাঁচ মণ ভেজাল ঘি ও বিভিন্ন ব্রান্ডের সস উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেয়া হয়। ঈদ উপলক্ষে রান্না করা এসব ভেজাল খাদ্য খেয়েই বিভিন্ন বয়সের মানুষ পেটের পীড়াসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এআরএ/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।