নববধূকে হারিয়ে কাঁদছেন এনবিআর কমিশনার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে হোটেলে ওঠার আগেই লাশ হলেন এনবিআর অফিসের সহকারী কাস্টমস কমিশনারের নববিবাহিতা স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের হিমছড়ি এলাকায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ সময় অটোরিকশাচালক ও নিহতের স্বামী আহত হয়েছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করেছে জনতা।

নববধূর নাম শাম্মী খানম তানিয়া (২০)। তিনি ঢাকার এনবিআর অফিসের সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবিরের স্ত্রী। এইচ এম আহসানুল কবিরের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবির তার নববিবাহিতা স্ত্রী তানিয়াকে নিয়ে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে যান।

coxbazar

তাদের রুম বুকিং ছিল প্যাচারদ্বীপ রেজুর খাল সংলগ্ন মারমেইড ইকো রিসোর্টে। বিমান থেকে নেমে নবদম্পতি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে মারমেইডে যাচ্ছিলেন। হিমছড়ি নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে পড়ে আহত হন তারা। এ সময় মারাত্মক আহত হন স্ত্রী তানিয়া।

স্থানীয় কয়েকজন সংবাদকর্মী পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে কক্সবাজার ফেরার পথে রাস্তার পাশে আহতদের পড়ে থাকতে দেখে তাদের গাড়িতে তুলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী তানিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

সহকারী কাস্টমস কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবির বলেন, নববধূকে নিয়ে কক্সবাজার সৈকত দেখতে এসেছিলাম। কিন্তু আনন্দটা বিষাদে পরিণত হলো। একটি দুর্ঘটনা জীবনসঙ্গীকে এভাবে কেড়ে নেবে ভাবতে পারিনি। ভাগ্য আমাদের কক্সবাজার বসে একটু স্থির হতে দিলো না। হোটেলে একসঙ্গে বসে গল্প করার পরিবর্তে তানিয়াকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের হিমঘরে রেখে আসলাম। এসব বলতে বলতে কাঁদছিলেন কমিশনার।

রামু থানা পুলিশের ওসি লিয়াকত আলী বলেন, এটি সত্যিই বেদনাদায়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ঘাতক মাইক্রেবাস জব্দ করেছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।