সাড়া ফেলেছে হুমায়ুনের রুটি মেকার


প্রকাশিত: ০৪:১৭ এএম, ২২ জুলাই ২০১৫

মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতি গ্রামের হুমায়ুন কবীর (৩৮) কাঠের রুটি মেকার মেশিন তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন। ইতোমধ্যে এই মেশিন দেশের গন্ডি পেরিয়ে আমেরিকা, সৌদি আরব, ভুটান, দুবাই, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গেছে। এই মেশিনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রতি ২ সেকেন্ডে ১টি করে রুটি বানানো যায় এবং বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে।

এ মেশিনটি দিয়ে ছেলে বুড়ো সবাই খুব সহজেই দ্রুত ও সুন্দরভাবে রুটি তৈরি করতে পারেন এবং বিদেশি রুটি বানানো যন্ত্রের চেয়ে ব্যবহারবিধি অনেক সহজ ও উন্নত বলে বাজারে এর চাহিদাও অনেক। ইতোমধ্যে তিনি নিজ বাড়িতে ছোট একটি কারখানা স্থাপন করেছেন। সেখানে ৪ জন নারী শ্রমিকসহ ৬ জন পুরুষ কারিগর নিয়মিত কাজ করছেন। মানুষের ক্রয় সুবিধার্থে কারখানায় ৩ ধরনের মেশিন তৈরি করা হয়। দামও ৩ রকম। মানের ভিত্তিতেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

হুমায়ুন কবির পেশায় একজন আইটি বিশেষজ্ঞ। তবে পেশার বাইরে নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রতি তার আগ্রহ ছিল বরাবরই। রুটি বানানো নিয়ে নারীদের কষ্ট ও বিড়ম্বনার বিষয়টি তার সৃজনশীল দৃষ্টিতে ধরা পড়ে। এরই ধারবাহিকতায় ২০১১ সালের শেষের দিকে এই মেশিন তৈরির কাজে হাত দেন তিনি। মাত্র তিন মাসের গবেষণায় সাফল্য আসে। কাঠ ও এক ধরনের পেপার টেকনোলজি ব্যবহার করে যন্ত্রটি তৈরি করেন তিনি।

হুমায়ুন কবীর জানান, বাজারে ভারতীয় রুটি মেকার থাকলেও সেটায় শুধুমাত্র কাঁচা আটার রুটি তৈরি করা যায়।  কিন্তু তার মেশিনে দেশি সিদ্ধ গমের আটার রুটি, সিদ্ধ চালের গুড়ার রুটি, কাঁচা গমের আটার রুটি, তালের রুটি, মাসকলাইয়ের রুটি, মিষ্টি আলুর রুটি, ডিমের পরাটা, ভেজিটেবল টোস্ট, লুচি, ফুচকাসহ বিভিন্ন প্রকার রেসিপি তৈরি করা যায়।

হুমায়ুন কবীর জাগো নিউজকে জানায়, ভবিষ্যতে তিনি তার কারখানা আরো বড় করে যন্ত্রটিকে সেমিমেটালে রূপান্তর করতে চান। এতে প্রতি মাসে ৫ হাজার পিস উৎপাদন করা সম্ভব হবে এবং দামও প্রায় ৭৫% কমে আসবে। ফলে একদিকে স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে অন্যদিকে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

রুটি মেকার কিনতে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৯৯৬০০০১০, ০১৭৩১৪৯৪৫০১, ০১৭৪০৮৬১৯১১ নম্বরগুলোতে।

মো. আরাফাত হোসেন/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।