৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন রসায়নের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে পেন্সিলের কালি দিয়ে দাগ দেয়ায় তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার নগরীর সরকারি মুসলিম কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রমিজ আলম তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বহিষ্কার করতে কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সেন্ট প্লাসিড স্কুলের ইমাম হোসেন, তারিক আমিন চৌধুরী ও স্কলাসটিকা স্কুলের সায়মা আক্তার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রমিজ আলম জাগো নিউজকে বলেন, প্রশ্নপত্রে দাগ দেয়া নিষিদ্ধ। এরপরও তিন পরীক্ষার্থী প্রশ্নে দাগ দেয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কারের বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পরীক্ষার প্রশ্নে দাগ দেয়ায় মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তাদের বহিষ্কারাদেশ কত দিনের হবে তা বোর্ডের ডিসিপ্লিনারি কমিটি বসে তাদের অপরাধ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, বহিষ্কারের প্রতিবাদে পরীক্ষা শেষে দুপুর ১টা থেকে বিকেলে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানায় সেন্ট প্লাসিড ও স্কলাসটিকা স্কুলের পরীক্ষার্থীরা। এ সময় তারা তিন পরীক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

সাবিহা নুসরাত নামে স্কলাসটিকার এক পরীক্ষার্থী জাগো নিউজকে জানায়, তারা ভিন্ন ভিন্ন রুমে পরীক্ষা দিচ্ছিল। কেন বিনা দোষে বহিষ্কার করা হলো তাদের। পরীক্ষার প্রশ্নে শুধু পেন্সিলের দাগ ছিল। কেন্দ্রে মোবাইল নিষিদ্ধ থাকার পরও ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই মোবাইল ব্যবহার করছেন। তিনি নিজেই তো আইন মানছেন না।

শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী অবস্থানের সময় তিন অভিভাবককে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।