সম্মানী পেতেও ঘুষ!

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পরিসংখ্যান বিভাগের খানা তথ্যভাণ্ডার শুমারীতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৬২ জন অস্থায়ী মাঠকর্মী অংশ নেন। বিধি মোতাবেক ব্যাংক চেকের মাধ্যমে তাদের সম্মানী প্রদানের নিয়ম থাকলেও চেক পেতে মাঠকর্মী প্রতি ৪শ টাকা করে ঘুষ নেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এ ঘুষের টাকা না দিলে চেক আটকিয়ে প্রশিক্ষণের টিএডিএ বঞ্চিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুমারী কর্মীদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের মতো রূপগঞ্জ উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরুদ্দিনের নির্দেশে জোনাল কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও আওলাদ হোসেন চলমান খানা তথ্যভাণ্ডার শুমারী ২০১৮ কার্যক্রম শুরু করেন। এ কার্যক্রমটি বিগত ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। এতে অংশ নেন উপজেলার ৬২ জন মাঠকর্মী। ইউনিট ভিত্তিক ভাগ করে পৌরসভা ও ইউনিয়নে আলাদা আলাদা সুপারভাইজার নিয়োগ করে কর্তৃপক্ষ।

রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ১৮ ও ১৯নং নামীয় ২ জোনের জোনাল কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও আওলাদ হোসেনের অধীনে একই উপজেলার ৬২ জন মাঠকর্মীকে নিয়োগ দেয়া হয়। এদের প্রশিক্ষণ পরবর্তী ভাতা প্রদানের নিয়ম থাকলেও সেটা দেয়া হয়নি। আবার কাজ শেষে চেকের মাধ্যমে সম্মানী দেয়ার সময় মাঠকর্মী প্রতি ৪শ টাকা করে আদায় করছে বলে জানা গেছে। আর তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলেই চেক আটকিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।

উপজেলার মধূখালী এলাকার মাঠকর্মী আল আমিন মিয়া জানান, ৫শ টাকা দিয়েই মাঠকর্মীর কাজ পেয়েছেন। আবার প্রশিক্ষণ নিলেও সেখান থেকে কোনো প্রকার টিএডিএ পাননি। সর্বশেষ সম্মানীর চেক আনতে উপজেলায় গেলে সেখানেও ৪শ টাকা দিয়ে চেক পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগবের এলাকার “জ” অধ্যাক্ষের মাঠকর্মী জানান, স্ব স্ব এলাকা থেকে মাঠকর্মী নিয়োগের নিয়ম থাকলেও সুপার ভাইজরদের মনোনীত একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫-৬ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনিও ৪শ টাকা ঘুষ দিয়েই চেক পেয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জোনাল প্রধান আওলাদ হোসেন বলেন, উপরের হুকুম তাই কিছু খরচ নেয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুদ্দিন মিয়া বলেন, মাঠ কর্মীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ঘুষ আদায় হয়নি। কিছু খরচ নেয়া হয়েছে মাত্র।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিত কিন্তু বেকার শ্রেণির মাঠকর্মীর মাধ্যমে খানা তথ্য শুমারীর কাজ পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার ঘুষ আদায় হয়ে থাকলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মীর আব্দুল আলীম/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।