ঘরে মায়ের লাশ, পরীক্ষার হলে কান্নায় ভেঙে পড়ল সুমাইয়া
পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দেবেন মা। এরপর ভালোবাসা ও দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন। এটাই ছিল স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু সুমাইয়ার ভাগ্যে তা আর হয়নি।
মেয়েকে রেখেই চিরদিনের জন্য চলে গেলেন মা। সেই মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিতে আসছে সুমাইয়া। ফরিদপুরের সালথা মডেল উচ্চ-বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার দিন এ হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটে।
সুমাইয়া আক্তার ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর গ্রামের মো. সহিদ মোল্যার মেয়ে। সে সালথা উপজেলার আটঘর উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের জানান, রোববার রাতে সন্তান প্রসব করার সময় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুমাইয়ার মা।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মায়ের মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এ সময় মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে ছুটে যায় সুমাইয়া।
পরীক্ষা দেয়ার সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। তবে সহপাঠী ও কেন্দ্র সচিবদের সহযোগিতায় সুমাইয়া পরীক্ষা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান কেন্দ্রে ছুটে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন।
আটঘর উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুর রহমান খান বলেন, সকাল ১১টায় সুমাইয়ার মায়ের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরীক্ষা কেন্দ্রে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এএম/আইআই