বিয়ে করতে বলায় তরুণীকে মেরে রাস্তায় ফেলে গেল ছেলের পরিবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

জয়পুরহাট পৌর শহরের সাহেবপাড়া মহল্লার পরিমল বশাকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ তুলেছেন আদিবাসী তরুণী দিপালী রানী। এর জের ধরে কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে পরিমলের বাড়িতে গেলে তাকে পরিমলের পরিবারের লোকজন মারধর করে বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে রাতে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

জানা যায়, পরিমল বশাক (২৮) জয়পুরহাট পৌর শহরের সাহেবপাড়া মহল্লার ফটিক বশাকের ছেলে। অপরদিকে দিপালী রানী (২৮) জয়পুরহাট সদর উপজেলার চক গোপাল গ্রামের আদিবাসী পল্লীর মঙ্গলের মেয়ে। তিনি বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের জয়পুরহাট অফিসে চাকরি করেন। পার্শ্ববর্তী মহল্লার হওয়ায় পরিমল বশাক দীর্ঘ ৫-৬ বছর আগে দিপালীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরিমল তার সঙ্গে দীর্ঘ দিন যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক ভাবে বিয়ে করে ঘরে তোলার জন্য দিপালী পরিমলকে চাপ দিতে থাকে। 

দিপালী ও তার পরিবারের অভিযোগ, দিপালীর জন্য অনেক প্রতিষ্ঠিত পাত্রের সন্ধান পাওয়া গেলেও পরিমল এলাকায় খবর ছড়িয়ে দেয় যে, দিপালী তার বিয়ে করা স্ত্রী। এ অবস্থায় এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে দিপালীর পরিবার পরিমলকে বিয়ের জন্য অনেক অনুরোধ করে নিষ্ফল হয়। বাধ্য হয়ে দিপালী সামাজিক স্বীকৃতির দাবিতে পরিমলের বাসায় যান। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিমল ও তার স্বজনরা দিপালীকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে পরিমলসহ তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দিপালীকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জযপুরহাট সদর থানার ওসি সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাশেদুজ্জামান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।