প্রেম করার অপরাধে প্রাণ গেলো যুবকের


প্রকাশিত: ০৯:৪৭ এএম, ১৯ জুলাই ২০১৫

গোপালগঞ্জে প্রেম করার অপরাধে তুহিন মোল্লা ওরফে শাহীন (১৮) নামের এক যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আপন চাচা ও তার চাচতো ভাইরা। তাকে দুই চোখ উপড়ে ও দুই হাত কেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের লায়েক মোল্লার মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ইভার (ছদ্ম নাম) সাথে তার আপন ছোট ভাইয়ের ছেলে তুহিন মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলে আসছিল। এটা জানাজানি হয়ে গেলে দুই ভাইয়ের মধ্যে এ নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। তিনি তার মেয়েকে নানাভাবে বুঝিয়ে প্রেম থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।  

এদিকে, ঈদের দিন রাত ৮টার দিকে লায়েক মোল্লা ও তার ছেলে আরিফুল ও শরিফুল চাচাতো ভাই তুহিনকে বাড়ির পাশে একটি মাছের ঘেরের কাছে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই হাত কেটে নেয় এবং দুই চোখ উপড়ে ফেলে। তুহিনের চিৎকার শুনে তার বাবা শওকত মোল্লা ও সৎ ভাই ফিরোজ মোল্লা ঘটনাস্থলে আসলে প্রথমে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শওকত মোল্লার দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং ফিরোজ মোল্লাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় ।

এ ঘটনা জানতে পেরে এলাকাবাসী তাদের গুরুতর অবস্থায় গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি ঘটায় কর্তব্যরত ডাক্তার তুহিন মোল্লা ও তার বাবা শওকত মোল্লাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠান। ঢাকা নেওয়ার পথে তুহিন মোল্লা মারা যায়।

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে আমাদের থানায় এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা জড়িতদের  খুঁজে বের করে অবিলম্বে আইনে সোপর্দ করার চেষ্টা চালাচ্ছি।

এস এম হুমায়ূন কবীর/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।