হাসপাতালে স্ত্রীকে রেখে পালাল স্বামী
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার আড়িয়া মর্দন গ্রামে সিদ্দিক পাইক (২৫) নামের মাদকাসক্তের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে (২২) নির্যাতন করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার রাতে বাগেরহট সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। তবে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে হাসপাতালে আনার আগেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত খাদিজা কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়নের শিরোখালী গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। ফাতেমা (৫) ও ইমান (৩) নামের তার দু’টি সন্তান রয়েছে।
নিহত খাদিজার ভাই আবুবক্কর বলেন, নয় বছর আগে উপজেলার আড়িয়া মর্দন গ্রামের খলিল পাইকের ছেলে সিদ্দিকের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে সিদ্দিক আমার বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। কিন্তু বোনের ঘরে দু’টি সন্তান থাকার কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলিনি।
শনিবার রাতে সিদ্দিক খাদিজাকে বেধড়ক মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। পরে সিদ্দিকের পরিবারের লোকেরা খাদিজাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সিদ্দিক হাসপাতালে খাদিজাকে রেখে পালিয়ে যায়।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মুশফিকার শামস বলেন, শনিবার রাত ১টার দিকে খাদিজা বেগম নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাতাব উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
শওকত আলী বাবু/এএম/জেআইএম