সাপাহারে সাংবাদিক লাঞ্ছনার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৫

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০২:০৬ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নওগাঁর সাপাহারে দুই সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার বিকেলে সাপাহার থানায় এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের নওগাঁ প্রতিনিধি এএসএম রায়হান আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর সন্ধ্যায় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাবলু রহমানের ছেলে নূর আলম (২৫), অরুণপাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহের সরদারের ছেলে আবু তালেব (৩৮), গোডাউনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫), ইয়াকুব আলীর ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩২) এবং আনিছুর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপাহার সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় ক্রয়সূত্রে পাওয়া চার শতক জমিতে গিয়াসউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৪ সালে বিপণিবিতান নির্মাণ করেন। যা গিয়াস মার্কেট নামে পরিচিত। গিয়াস মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশরা দীর্ঘদিন ধরে ওই মার্কেট ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। গত সোমবার সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলীর নেতৃত্বে কিছু লোকজন ওই বিপণিবিতানের ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে তালা দিয়ে দখলে নেন। এ ঘটনায় ওই বিপণিবিতানের মালিক মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম নওগাঁর সাপাহার সহকারী সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন।

অভিযোগের সূত্রে ধরে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে যান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি ও নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দীন এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের নওগাঁ প্রতিনিধি এএসএম রায়হান আলম। তথ্য সংগ্রহের এক পর্যায়ে দখলদার সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের ৭-৮ লোকজন ওই সাংবাদিকদের মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানা পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ জেলহাজতে পাঠানো হবে।

আব্বাস আলী/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।