ঈদে দৌলতদিয়া ঘাটে নেই কোনো বাড়তি চাপ
ঈদ চলে এসেছে। চারদিকে ঈদ আনন্দের কলরব শোনা যাচ্ছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দটুকু ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন সবাই। তাই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষের নেই কোনো বাড়তি চাপ।
ঈদে রাজধানীর বেশিরভাগ কর্মস্থল ছুটি হয়ে যাওয়াতে এ নৌরুটে যাত্রীদের চাপ থাকলেও পারাপার হওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না যাত্রীদের। বর্ষা মৌসুম হওয়াতে নদীতে পানি বেশি হওয়ায় স্রোতের কারণে পারাপারে সময় একটু বেশি লাগছে।
বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে মোট ত্রিশটি লঞ্চ ও ছোট-বড় সতেরটি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে বড় নয়টি রো রো ফেরি, তিনটি ছোট কে-টাইপ ফেরি ও পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরি চলাচল করছে।
ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, ঈদে পরিবারের প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন তারা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে একটুতো কষ্ট হবেই তারপরও আনন্দের কমতি নেই তাদের মধ্যে। নদী পারাপারে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা বলে জানা গেছে যাত্রীদের কাছ থেকে। তবে সময় একটু বেশি লাগছে এই যা। ভাড়া বেশি নেবার অভিযোগও আছে।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় ঈদ মৌসুম হওয়াতে যাত্রীদের চাপ একটু বেশি হলেও নেই কোনো বাড়তি চাপ। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বোঝাই করছে না কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর ফেরিতে যান্ত্রীক ত্রুটি দেখা না দিলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের পারাপার হতে কোনো সমস্যা বা যানযট সৃষ্টি হবে না। সব সময় তারা এর সঠিক তদারকি করবে।
নদীতে যাত্রী পারাপার করতে এবার পর্যাপ্ত পরিমাণ লঞ্চ ও ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঘাটে র্যাব-৮ এর অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী বহন করা হচ্ছে না এবং বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
রাজবাড়ী ট্রাফিক ইন্সপেক্টর-১ গোপাল কৃষ্ণ মিস্ত্রী জাগো নিউজকে জানান, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফোর লেন সড়ক ভালো হওয়াতে যাত্রীবাহী বাসগুলো নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারছে। এতে করে কোনো যানজটের সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা নেই। যানজট এবং চাঁদাবাজি রোধে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশ দৌলতদিয়া ঘাটে মোতায়েন রয়েছে।
রুবেলুর রহমান/এমজেড/আরআইপি