মন্টু মাঝির কাঠের সেতু
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা-পালেরচর-বড়কান্দি যাওয়ার একমাত্র পথ সুগন্ধা নদী। এতদিন এ নদী পারের জন্য নৌকার অপেক্ষায় থাকা লাগত। কিন্তু এখন আর সেদিন নেই। নদীটি পারাপারের জন্য নদীর উপর কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন ওই ঘাটেরই মাঝি মন্টু বাবু।
পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের সিকদারকান্দি গ্রামের মন্টু বাবু জানান, ওই ঘাটে ২৫ বছর যাবৎ নৌকায় মানুষ পার করেন তিনি। তার বাবা কুটি বাবু ও দাদা সাহাদাত রবি দাস বাবুও একই কাজ করেছেন। ৩ ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেক চেষ্টা করেও একটি সেতু নির্মাণে সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি গ্রামবাসী। তাই এলাকার মানুষের কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে এক কিলোমিটার দীর্ঘ কাঠের সেতুটি নির্মাণ করেছেন তিনি।
মন্টু আরাে জানান, কাঠের সেতুটি নির্মাণ করতে ২ মাস ১০ দিন সময় লেগেছে মন্টুর। খরচ হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে বিশ হাজার টাকা দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান।
পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের বাসিন্দারা জাগো নিউজকে জানান, এমপি, মন্ত্রী, রাজনীতিবিদরা অনেকেই ব্রিজ করে দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। মন্টু বাবু কাঠের সেতুটা তৈরি করে বুঝিয়ে দিল ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব।
পূর্বনাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাল চাঁন মাদবর বলেন, মন্টু বাবু সেতুটি নির্মাণ করায় এলাকার মানুষের অনেক উপকার হয়েছে।
মো. ছগির হোসেন/এফএ/আরআইপি