নেত্রকোনায় এক বছরে ১৮৪ জনের মৃত্যু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নেত্রকোনা
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০১৮

গত ১ বছরে নেত্রকোনা জেলায় ১৮৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে হত্যা, ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা, বিষপানে আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ও পানিতে ডুবে মৃত্যু।

সচেতন বিশ্লেষকদের মতে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়েও অনেক বেশি। কারণ অনেক সময় নিভৃত পল্লী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা গেলে পুলিশি হয়রানি কিংবা ময়নাতদন্তে কাঁটা ছেড়ার ভয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় তা সরকারি হিসাবে নথিভূক্ত হয় না।

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্র মতে, নেত্রকোনা জেলায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ১২, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৫, এপ্রিলে ১৩, মে-তে ১৭, জুনে ১৮, জুলাইয়ে ১৩, আগস্টে ১৯, সেপ্টেম্বরে ২০, অক্টোবরে ১৩, নভেম্বরে ১১ ও ডিসেম্বর মাসে ১৫টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সচেতন মহলের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সবার আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে জনসচেতনতা, রাস্তায় কীভাবে গাড়ি চালাতে হয় সেই সব নিয়ম কানুন সম্পর্কে চালকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গাড়িচালক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় কেউ যেন গাড়ি না চালায় এবং ট্রাফিক আইন যাতে সবাই মেনে চলে এ জন্য ট্রাফিক বিভাগকে আরও সততা ও আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে হবে।

পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, সড়ক দুর্ঘটনারোধ কল্পে জেলা আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যেন অদক্ষ চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও পুলিশ বিভাগ সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্ত চালকদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।

কামাল হোসাইন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।