কক্সবাজারে ভারতীয় পর্যটকবাহী স্পিডবোটডুবি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে ড্রেজারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পর্যটকবাহী একটি স্পিডবোটডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই নারীসহ তিন ভারতীয় পর্যটক ও বোটের চালক নিখোঁজ হলেও পরে তাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে বাঁকখালী নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের যৌথভাবে উদ্ধার করেন দমকল বাহিনী ও নৌ বাহিনী সদস্যরা।

উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- ভারতের কলকাতার বাসিন্দা মঞ্জুলাল ঘোষ (৫৮) ও বিধিকা মন্ডল (৪০)। অন্যজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম জানান, পর্যটকবাহী স্পিডবোটটি কক্সবাজার থেকে মহেশখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে বাঁকখালী মোহনায় এসে সাগর থেকে বালু উত্তোলনরত একটি ড্রেজারের সঙ্গে বোটটির ধাক্কা লাগে। এতে স্পিডবোটটি উল্টে সকল যাত্রী নদীতে পড়ে যান। এ সময় অন্যবোটের লোকজন সাগরে পড়ে যাওয়া সাত পর্যটক তাৎক্ষণিক উদ্ধার করেন। তবে দুই নারীসহ অন্য তিন পর্যটক ও স্পিডবোটটির চালক আনিছ নিখোঁজ হন। পরে উদ্ধারকারী বাহিনীর নিখোঁজ তিন ভারতীয় পর্যটককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেন। চালকের অদক্ষতার কারণে এ ঘটনা ঘটে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

দুর্ঘটনার শিকার ওই বোটের যাত্রী সমিত ঘোষ জানান, তারা কলকাতা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন ১৭ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন সকালে স্পিডবোটে করে আদিনাথ দর্শনে যান। সেখানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় তাদের বহনকারী বোটটি।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সাফায়েত হোসেন সাগর বলেন, নৌ বাহিনীর সহায়তায় দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধার করে। চালক নিখোঁজের কথা বলা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। মনে হয় সাঁতার জানায় তিনি সাঁতরে কুলে উঠে পালিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল কালাম বলেন, কি কারণে স্পিডবোটটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।