শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে গাইবান্ধার নিম্ন আয়ের মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ০৮ জানুয়ারি ২০১৮

টানা কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গাইবান্ধার নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে পথঘাট। আর দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলে দুপুর বা বিকেল নাগাদ। কোনোদিন আবার দেখাই যায় না। সন্ধ্যা নামলেই শহরে কমতে শুরু করে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা। এতে করে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও শীতবস্ত্র বিতরণের দাবি জানিয়েছেন শীতার্ত মানুষ।

জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, মানুষজন বিভিন্ন সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে কাগজ ও টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে সড়কগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা কম রয়েছে। অনেক মানুষকে হেঁটেই চলাচল করতে দেখা গেছে। হাতেগোনা যে কয়েকটি রিকশা দেখা গেছে সেগুলোতেও ভাড়া অতিরিক্ত আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সকাল ১০টাতেও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি, ফলে মালামাল কিনতে আসা মানুষরা বিপাকে পড়ছেন।

গত ডিসেম্বর মাস থেকে উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। রাতে কুয়াশার কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করে ধীরে। ফলে ডাকাতির সম্ভাবনাও থাকে এসময়। শীতকালে জেলার বিভিন্ন সড়কে ডাকাতির ঘটনাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রাতে সড়কগুলোতে পুলিশি টহলের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলা শহরের সুখনগর এলাকার রিকশাচালক শামসুল ইসলাম (৭০) বলেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই শীতের তীব্রতা বাড়ে। গরম কাপড় কেনার টাকা না থাকায় খুব কষ্ট পেতে হচ্ছে।

ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের ছুরিতন বেওয়া (৬০) বলেন, ‘কয়দিন থাকি যে শীত পড়ছে বাবা, খুব কষ্ট হচ্ছে। গরমের কাপড় যে কিনমো তারও ট্যাকা নাই।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় ৪৬ হাজার দুঃস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, পাওয়া গেলে সেগুলোও বিতরণ করা হবে।

রওশন আলম পাপুল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।