যশোর-বেনাপোল সড়কের ২ সহস্রাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০১৮

যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে শেষ পর্যন্ত দুই পাশের ২ হাজার ৩১২টি রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে যশোর-বেনাপোল রাস্তার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বৃক্ষ অপসারণ বিষয়ক সভা থেকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন এমপি, আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

এই গাছগুলো না কাটার পক্ষে একাধিক এমপি ইতোপূর্বে সংসদে বক্তব্য দিলে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছিল। এনিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নাখোশ হন জেলার সচেতন মানুষ।

সভায় জানানো হয়, মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। শিগগিরই এই কাজ শুরু হবে। কিন্তু মহাসড়কটির দুই পাশে শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ রয়েছে। সেগুলো রেখে মহাসড়ক চার লেন করা সম্ভব না। সে কারণে জনস্বার্থে গাছ কাটতে হবে।

এদিকে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরে জনসভা থেকে যশোর-বেনাপোল রাস্তার কাজ উদ্বোধন করেন। ৩২৮ কোটি ৯২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু হবে। কিন্তু গাছ থাকলে চার লেন আদৌ সম্ভব না। এজন্য গাছ কাটার ব্যাপারে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা কেউ দ্বিমত করেননি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আশরাফ উদ্দিন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-১ আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের এমপি মনিরুল ইসলাম, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আব্দুল মালেক, স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার পরিচালক হোসেন আলী খন্দকার, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন-উজ্জামান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হোসাইন শওকত বলেন, যশোর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আগেই হয়। সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন ও আব্দুল মালেকসহ অন্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার আবারও মিটিং হয়। উন্নয়নের স্বার্থে সবাই গাছ কাটার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, গাছ নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা পরিষদের মধ্যে যে বিরোধ আছে তা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিষ্পত্তি করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যশোরের তিনজন এমপি মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে তারা কেউ গাছ কাটার বিপক্ষে মত দেননি।

মিলন রহমান/আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।