রাজন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি ময়না গ্রেফতার
সিলেটে বর্বরোচিতভাবে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চৌকিদার ময়না মিয়াকে এলাকাবাসী ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাকে সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকা থেকে ধরে জালালাবাদ থানা পুলিশে সোর্পদ করা হয়।
এদিকে রাত নয়টার দিকে জালালাবাদ থানার এসআই আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ জানান, ময়না মিয়া রাজন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
এছাড়া এসআই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান ও স্বজনদের বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমিনুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হলো। এর আগে এসব অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএম রুকন উদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, আমিনুলকে প্রত্যাহার করে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) এর কার্যালয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি ওয়ার্কশপের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রায় দেড়ঘণ্টা অমানুষিক নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে লাশ গুম করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে খুনিদের একজন মুহিত। সে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
নিহত রাজনের বাড়ি কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডর পার্শ্ববর্তী জালালাবাদ থানার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক। তার দুই ছেলের মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা রাজন সবজি বিক্রি করত।
ছামির মাহমুদ/এসকেডি/এমএস