চিকিৎসা সহযোগিতা প্রয়োজন মনোয়ারা বেগমের
মৃত্যু যেন প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিকসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মনোয়ারা বেগমকে (৪৫)। বয়স তাকে কাবু করতে না পারলেও বিনা চিকিৎসায় আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মানবেতর জীবনযাপন করা এই দুখিনী মায়ের যেন ঘনিয়ে আসছে মৃত্যুর প্রহর। মানবিক এ ঘটনাটি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দুধের আউটা গ্রামের। মনোয়ারা বেগম ওই গ্রামের দিনমজুর উমর আলীর স্ত্রী।
জানা গেছে, বিগত দুই বছর ধরে স্বামীর ভাঙাভিটায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন এই দুখিনী মা। তবে তার বেঁচে থাকার করুণ আর্তনাদ কারও হৃদয় স্পর্শ করেনি আজও। দুঃখে জীবনঘেরা এই মাকে ক্ষণিকের আনন্দ স্পর্শ করেনি কোনো দিন। ক্ষীণ জীবনে বহুবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখলেও বিধি বাম! যেন উড়তে মানা আকাশে তোর, বসতে মানা ডালে। বাসা বাঁধতেও মানা, কি আছে কপালে। মনোয়ারা বেগমকে নিয়ে আজ স্বজনদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, পরিবারের সবাই যেন নির্বিকার।
অন্যের বাড়িতে মাথা গোঁজার ঠাই করে নেয়া দুখিনী এই মায়ের প্রতিবন্ধী ছেলে মহিবুর রহমানের সঙ্গে রোববার সকালে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন দিনমজুর বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি মায়ের উন্নত চিকিৎসা। স্থানীয়ভাবে ডাক্তার-কবিরাজ দেখালেও কোনো সুফল মেলেনি। গত দুই বছর ধরে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। কোমর থেকে পা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গেছে। ডান হাতও অবশ। এছাড়া ডায়াবেটিকসসহ অন্যান্য রোগব্যধির কারণে বিছানা এখন নিত্যসঙ্গী।
এ দিকে মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসা ব্যয় কত হতে পারে এমন তথ্য জানার জন্য প্যারালাইসিস ও ডায়াবেটিকস বিশেষজ্ঞ একাধিক ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলেছেন দীর্ঘমেয়াদি এ চিকিৎসায় অন্তত ৫০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে।
দুধেরআউটা গ্রাম জামে মসজিদের মোতওয়াল্লি প্রতিবেশী চানফর মিয়া ও জামে মসজিদের সভাপতি মো. নুরুল হক জানান, পরিবারটি খুব অসহায়। বড় ছেলের হাড়ভাঙা পরিশ্রমে কোনো রকমে সংসার চলে তাদের। টাকার অভাবে দীর্ঘ দুই বছর মনোয়ারা বেগম বিছানায় কাতরাচ্ছেন। হৃদয়বান ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে হয়তো বেঁচে যাবে একটি জীবন। সন্তানরা ফিরে পাবে মায়ের ছায়াতল।
রাজু আহমেদ রমজান/এমএএস/জেআইএম