থার্টি ফার্স্টে রাজশাহীতে কঠোর নিরাপত্তা আরএমপির
থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। এ নিয়ে নগরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নিরাপত্তা হুমকি না থাকলেও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, রোববার দুপুরের পর থেকেই শহরের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজনদের তল্লাশি চলছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জোরদার করা হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা তৎপরতা।
এরই মধ্যে ইংরেজি নববর্ষ-২০১৮ উদযাপনে নগরবাসীর প্রতি বিধি নিষেধ আরোপ করেছে নগর পুলিশ। উচ্ছৃঙ্খলতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের আহ্ববান জানানো হয়েছে।
আরএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোথাও আতশবাজি বা পটকা ফুটানো যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাচ, গান বা কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। রাস্তার মোড়, ওভারব্রিজ, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত বা সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না। অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না উন্মুক্ত স্থানেও। সন্ধ্যার মধ্যেই নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় আরএমপি।
আরএমপি আরও জানিয়েছে, রোববার রাত ৮টার পর থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা যাবে না। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণেও কঠোর হয়েছে আরএমপি। রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর নগরীর সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশের সাহায্য গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নগরীর নিরাপত্তায় কর্তব্যরত পুলিশকে সহায়তারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর কোথাও খোলা স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ নেই। নগরীর নিরাপত্তায় সন্ধ্যার মধ্যে এসব অনুষ্ঠান শেষ করতে আয়োজকদের বলা হয়েছে। তবে ইনডোরে শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান চলতে পারে। এসব অনুষ্ঠানে পটকা বা আতশবাজি, মাদক এবং উচ্ছৃঙ্খলতা পরিহার করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নববর্ষ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চেকপোস্ট, টহল ছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মাঠে রয়েছেন। এনিয়ে নগরীতে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তবুও যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএএস/জেআইএম