খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের উত্তেজনা চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৭:৩২ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭

বকেয়া বেতন ও মজুরির দাবিতে খুলনার ৮টি পাটকলের শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে খেটে খাওয়া শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।

খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি পাটকলের শ্রমিকরা বকেয়া মজুরির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিতরতি পালন করছেন। রোববার সকাল ৬টায় এসব পাটকলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান না করে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের মধ্যে ৮টিরই উৎপাদনের চাকা ঘুরছে না। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্টার, প্লাটিনাম, দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট, ইস্টার্ণ, জেজে আই ও আলীম মোট ৭টি জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় শ্রমিকরা। এদিন চলেছে কার্পেটিং এবং খালিশপুর জুট মিল। কিন্তু শনিবার থেকে কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা কাজে যোগদান করলেও খালিশপুর জুট মিলের কোনো শ্রমিক উৎপাদন কাজে যোগ দেয়নি।

পাটকলগুলোর সূত্র জানায়, খুলনা অঞ্চলের ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে ক্রিসেন্ট জুট মিলে প্রায় ৫ হাজার, প্লাটিনামে সাড়ে ৪ হাজার, স্টারে সাড়ে ৪ হাজার, দৌলতপুর জুট মিলে সাড়ে ৬শ, ইস্টার্নে ২ হাজার, আলীমে দেড় হাজার এবং জেজেআই জুট মিলে ২ হাজার ৬শ এবং খালিশপুর জুট মিলে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক রয়েছেন। এসব পাটকলের শ্রমিকদের চার থেকে ১২ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে।

স্টার জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মো. বেল্লাল হোসেন মল্লিক বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। শ্রমিক-কর্মচারীরা বকেয়া মজুরি না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

ক্রিসেন্ট জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, মজুরি না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শ্রমিকরা। তাই তারা বাধ্য হয়ে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধান না হওয় পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে না।

বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন (বিজেএমসি) খুলনা অঞ্চলের লিয়াজো কর্মকর্তা গাজী শাহাদাত হোসেন বলেন, বেতনের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুই দিন অফিস বন্ধ ছিলো। ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আলমগীর হান্নান/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।