নারায়ণগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা


প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ১৩ জুলাই ২০১৫

ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে শেষবারের মতো নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে শপিং মলগুলোতে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। শপিং মলগুলোতে নারীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত থাকছে বিপণী বিতানগুলো। নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদে উৎসব মুখর মানুষ। শপিংমল ছাড়াও ফুটপাতের বেচাকেনা আরো বেশি দেখা যাচ্ছে।

শহরের প্রায় সবগুলো মার্কেটে রয়েছে ভারতীয় পোশাকের সমাহার। তবে শহরের মার্ক টাওয়ার, হক প্লাজা, হক প্লাজা, সায়াম প্লাজা, সান্তনা মার্কেট, বেলী টাওয়ার, বর্ষন সুপার মাকেট, এফ রহমান সুপার মার্কেটসহ আলজয়নাল প্লাজায়ও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন উন্নত মানের দেশি বিদেশি পোশাক। এসব মার্কেটগুলোতেও রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। এছাড়া শহরের বাইরে সিদ্ধিরগঞ্জ, কাঁচপুর, রূপগঞ্জের গাউছিয়া মার্কেটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিকে ঈদের বেচা কেনার জন্য কাস্টমারদের আর্কষণ করতে শহরের বেশ কিছু মার্কেটকে বিভিন্ন রঙের বৈদ্যুতিক বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক সাউন্ড সিস্টেম। সেই সঙ্গে মার্কেটগুলোতে নেয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ হক মার্কেটে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকার কেনাকাটা করলে কাস্টমারদের জন্য কুপনের ব্যবস্থা করেছেন। যেখানে ক্রেতারা ফ্রিজ, টিভি, গাড়ি, মোবাইল সেটসহ আরো অনেক কিছু জিতার লোভনীয় অফার রয়েছে।

সকালে শহরের চাষাঢ়ার সায়াম প্লাজায় ছেলেদের জন্য ঈদের মার্কেটিং করতে আসা ফতুল্লার গাবতলী এলাকার পাপিয়া আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে দেখেছি। পোশাকের দাম অতিরিক্ত। ছেলেদের জন্য মার্ক টাওয়ারে একটি প্যান্টের মূল্য চাওয়া হলো ৩৫০০ টাকা। আর একটি গেঞ্জির দাম চাইলো ২৮০০ টাকা। সায়াম প্লাজায় এসে এক জোড়া জুতার মূল্য চাইলো ৪ হাজার টাকা। অবশেষে বলতে হয় গত বছরের তুলনায় এবছর পোষাকের দাম একটু মনে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ঈদের আগেও সাধারণত যেসব প্যান্টের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৮০০/৯০০ টাকা এখন তা ঈদের কারণে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি করছে। দাম নিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথাই বলা যাচ্ছে না। এখনো কোনো কিছু কেনা হয়নি। তবে প্যান্ট ও শার্ট কেনার কথা ভাবছি। যে দাম কিভাবে কিনবো?

শহরের চাষাঢ়া বেইলি টাওয়ারের দোকান মালিক হারুন জাগো নিউজকে বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেচাকেনা একটু কম। আর জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি হওয়ায় মানুষ শপিংমলের চেয়ে ফুটপাতগুলোতে ঝুঁকছেন। তবে প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের চাপের তুলনায় বেচাকেনা তেমন মনে হচ্ছে না।  

মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।