জঙ্গিবাদ আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা : মনিরুল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭

কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ( সিটিটিসি) প্রধান পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ধর্মের দোহায় দিয়ে জঙ্গিবাদ আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা শান্তিপ্রিয় কিন্তু আমাদের বারবার জঙ্গিবাদের ছোবলে পড়তে হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ আয়োজিত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী এ কর্মশালায় শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানানোই জঙ্গিগোষ্ঠীর উদ্দেশ্য। এজন্য জঙ্গিগোষ্ঠী তরুণদের টার্গেট করেছে। কেননা যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। ধর্মের অপব্যাখা দিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী তরুণদের বিপথে পরিচালিত করছে। কিন্তু কোনো ধর্মই জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না।

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ হয়তো কিছু মানুষকে হত্যা করে-ক্ষতবিক্ষত করে। কিন্তু মাদক একটি জাতিকে তিলে-তিলে ধ্বংস করে দেয়। পুলিশ একা মাদক নির্মূল করতে পারবে না। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে মাদকের মোকাবেলা করা সম্ভব।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে হঠাৎ করে কোনো তরুণের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে কি না। মাদক ও জঙ্গিবাদের দিকে অগ্রসর হলেই তরুণদের মাঝে হঠাৎ পরিবর্তন আসে। এজন্য পরিবারের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.এস.এম শফিকুল্লাহ্, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।